দাম্পত্য সম্পর্কে বেশি জরুরি এই পাঁচটি বিষয়

বিয়ে মানে দুইটি আত্মার মিলন।  যদিও বিয়ের অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যৌনতা। কিন্তু সবসময় যৌনতা নিয়ে থাকলে মুশকিল। বিয়ে শারীরিক ও মানসিক, দুই দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।

 

মানসিক সম্পর্ক শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নয়। পরিবারের সঙ্গে হওয়াটাও জরুরি। শ্বশুর-শাশুড়ি বা বাড়িতে কোনো ভাশুর, দেওর বা ননদ থাকলে তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। শুধু মেয়েদের নয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। একথা ঠিক যে রীতি অনুযায়ী ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হয় না। তার মানে এই নয় যে তাদের কোনো দায়িত্ব বর্তায় না।

 

বিয়ের কিছু পর থেকেই ভারতীয় দম্পতির থেকে ‘ভাল খবর’ চায় পরিবার। যেন সন্তান হওয়ার দম্পতির জীবনে একমাত্র লক্ষ্য। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিতে হবে দম্পতিকে। পরিবারকে সুখী রাখতে সন্তান নিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত তো হতেই পারে। কিন্তু তারপর? তারপর তো সেই সন্তানকে মানুষ করার ভার নিতে হবে বাবা মা-কেও। সেখানে পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই। সেই কথা মাথায় রেখেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে দম্পতিকে। তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সন্তান নেবে, নাকি শুধু দুইজনেই বাকি জীবনটা কাটাবে।

 

ফুড হ্যাবিট কিন্তু সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে পারে। ধরুন আপনি নিরামিষাশী। কিন্তু আপনার সঙ্গী আমিষ ভক্ত। সেক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সরাসরি যদি নাও হয়, মন খারাপ হতেই পারে। তখন কিন্তু স্বামী ও স্ত্রী দু’জনকেই সমস্যা সমাধানে অবতীর্ণ হতে হবে।

 

কখনো নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন না। শারীরিক নয়। এখানে কথা হচ্ছে মানসিক নিরাপত্তা নিয়ে। ধরুন দুইজনের ফোন পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা থাকে বা দুইজনের কারো সোশাল সাইটের পাসওয়ার্ড অন্য কেউ জানে না। সেক্ষেত্রে কিন্তু সেগুলো জানার চেষ্টাও করবেন না। প্রত্যেকের নিজস্ব একটি জগৎ থাকে। সেটি নিয়ে তাঁকে থাকতে দিন। প্রয়োজন হলে একসঙ্গে বসে কথা বলুন।

 

স্বামী ও স্ত্রী, দুইজনেই যদি আর্থিকভাবে সাবলম্বী হন তবে একে অপরকে সাহায্য করুন। এক্ষেত্রে স্ত্রীর যেমন উচিত সমস্যায় পড়লে স্বামীকে আর্থিক সাহায্য করা, স্বামীরও তাই কর্তব্য। উপরন্তু মাঝে মধ্যে দুই জন দুইজনের জন্য সারপ্রাইজ ডেট বা উপহারের আয়োজন করুন। এতে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আবাসিক হোটেল থেকে পুরুষ সঙ্গীসহ টিকটকার মাহি আটক

» তিন দফা দাবিতে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের আগারগাঁও অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

» উপদেষ্টা হতে ২০০ কোটি টাকা দেওয়া সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

» সিলেটে বালু-পাথর তোলা, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করল প্রশাসন

» হাসপাতালে খোশগল্পে খায়রুল-শাজাহান খান, আত্মীয়স্বজন পরিচয়ে দেখা করছেন নেতাকর্মীরা

» নিজের বাবার স্কুলের মাঠে স্টেডিয়াম বানানোর প্রস্তাব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের

» একসঙ্গে একাধিক রিল যুক্ত করার ফিচার ইনস্টাগ্রামে

» ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে প্রস্তুত মালয়েশিয়া

» আইএসপিএলে বলিউড তারকাদের দল কেনার হিড়িক

» সীমান্ত থেকে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দাম্পত্য সম্পর্কে বেশি জরুরি এই পাঁচটি বিষয়

বিয়ে মানে দুইটি আত্মার মিলন।  যদিও বিয়ের অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যৌনতা। কিন্তু সবসময় যৌনতা নিয়ে থাকলে মুশকিল। বিয়ে শারীরিক ও মানসিক, দুই দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।

 

মানসিক সম্পর্ক শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নয়। পরিবারের সঙ্গে হওয়াটাও জরুরি। শ্বশুর-শাশুড়ি বা বাড়িতে কোনো ভাশুর, দেওর বা ননদ থাকলে তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। শুধু মেয়েদের নয়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। একথা ঠিক যে রীতি অনুযায়ী ছেলেদের শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হয় না। তার মানে এই নয় যে তাদের কোনো দায়িত্ব বর্তায় না।

 

বিয়ের কিছু পর থেকেই ভারতীয় দম্পতির থেকে ‘ভাল খবর’ চায় পরিবার। যেন সন্তান হওয়ার দম্পতির জীবনে একমাত্র লক্ষ্য। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নিতে হবে দম্পতিকে। পরিবারকে সুখী রাখতে সন্তান নিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত তো হতেই পারে। কিন্তু তারপর? তারপর তো সেই সন্তানকে মানুষ করার ভার নিতে হবে বাবা মা-কেও। সেখানে পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই। সেই কথা মাথায় রেখেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে দম্পতিকে। তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সন্তান নেবে, নাকি শুধু দুইজনেই বাকি জীবনটা কাটাবে।

 

ফুড হ্যাবিট কিন্তু সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে পারে। ধরুন আপনি নিরামিষাশী। কিন্তু আপনার সঙ্গী আমিষ ভক্ত। সেক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সরাসরি যদি নাও হয়, মন খারাপ হতেই পারে। তখন কিন্তু স্বামী ও স্ত্রী দু’জনকেই সমস্যা সমাধানে অবতীর্ণ হতে হবে।

 

কখনো নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন না। শারীরিক নয়। এখানে কথা হচ্ছে মানসিক নিরাপত্তা নিয়ে। ধরুন দুইজনের ফোন পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা থাকে বা দুইজনের কারো সোশাল সাইটের পাসওয়ার্ড অন্য কেউ জানে না। সেক্ষেত্রে কিন্তু সেগুলো জানার চেষ্টাও করবেন না। প্রত্যেকের নিজস্ব একটি জগৎ থাকে। সেটি নিয়ে তাঁকে থাকতে দিন। প্রয়োজন হলে একসঙ্গে বসে কথা বলুন।

 

স্বামী ও স্ত্রী, দুইজনেই যদি আর্থিকভাবে সাবলম্বী হন তবে একে অপরকে সাহায্য করুন। এক্ষেত্রে স্ত্রীর যেমন উচিত সমস্যায় পড়লে স্বামীকে আর্থিক সাহায্য করা, স্বামীরও তাই কর্তব্য। উপরন্তু মাঝে মধ্যে দুই জন দুইজনের জন্য সারপ্রাইজ ডেট বা উপহারের আয়োজন করুন। এতে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com