দক্ষিণ সিটির সকল ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

 

আজ (২৯ নভেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের সপ্তদশ বোর্ড সভায় ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ব্যায়ামাগারগুলো পরিচালনা নীতিমালা-২০২২’ অনুমোদন পাওয়ার পরে এতথ্য জানান তিনি।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে শরীরচর্চা কেন্দ্র আছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের সঙ্গে একটি শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। সেলক্ষ্য আমরা নতুন একটি প্রকল্প নিচ্ছি। আমাদের আরও নতুন ৩৬টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে আমাদের ৩৫টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র রয়েছে। আমরা সেটাকে বৃদ্ধি করে ৭৫টি ওয়ার্ডেই সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা সকল জায়গায় শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো- প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই জনগণের জন্য ব্যায়ামাগার সেবা নিশ্চিত করা।

 

মেয়র বলেন, ‘আমাদের শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলো বেশিরভাগই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। কোনো রকমভাবে আমাদের কাউন্সিলররা সহযোগিতায় আমরা সেগুলো পরিচালনা করে চলেছি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কর্মপরিকল্পনার আলোকে আমাদের তরুণ এবং জনগণের কল্যাণে যেন সেগুলো ব্যবহৃত হয়, সেদিকটা নিশ্চিত করা। এটা আমাদের মূলত কল্যাণমূলক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ। এখান থেকে আমরা খুব বেশি রাজস্ব আয় করতে চাই না। আমাদের জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজ যেন বিপথে না গিয়ে সুস্থ শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করতে পারে- সেজন্য প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই আমরা এই ব্যবস্থা রাখতে চাই। যাতে করে সেই এলাকার তরুণ প্রজন্মসহ সকল শ্রেণির জনগোষ্ঠী যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে। সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে পরিচালন নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে।

 

কমিটির সুপারিশের আলোকে এলাকাভেদে ব্যায়ামাগারগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘যারা আবেদন করবেন তাদের সকলের জন্য এলাকাভেদে ভাড়া নির্ধারিত হবে। এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে কমিটির মাধ্যমে এই ভাড়া নির্ধারণ করতে চাই। ব্যবসায়িক এলাকায় হয়তো প্রতি বর্গফুট ১০০ টাকা হারে হতে পারে। কিন্তু অনেক এলাকায় দশ-বিশ টাকাও হয়তো বেশি হয়ে যাবে। সেটা আমরা কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণ করব।

 

বিদ্যমান আয়তন, সুবিধাদি ও যন্ত্রপাতি বিবেচনা করে ব্যায়ামাগারগুলোকে ক, খ ও গ তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সেজন্য করপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও ভিন্নতা থাকবে। যে সকল ব্যায়ামাগারে সিটি করপোরেশনের যন্ত্রপাতি থাকবে, সে সকল ব্যামাগারের বাৎসরিক আয়ের ১৫ শতাংশ এবং যে সকল ব্যায়ামাগারে করপোরেশনের যন্ত্রপাতি নেই তা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ১০ শতাংশ সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। যে সকল ক্ষেত্রে একাধিক ইজারাদার পাওয়া যাবে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ইজারাদারকে ইজারা দেওয়া হবে। যারা ব্যায়ামাগার পরিচালনা করবেন তাদের অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।

 

বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দক্ষিণ সিটির সকল ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

 

আজ (২৯ নভেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের সপ্তদশ বোর্ড সভায় ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ব্যায়ামাগারগুলো পরিচালনা নীতিমালা-২০২২’ অনুমোদন পাওয়ার পরে এতথ্য জানান তিনি।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে শরীরচর্চা কেন্দ্র আছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের সঙ্গে একটি শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। সেলক্ষ্য আমরা নতুন একটি প্রকল্প নিচ্ছি। আমাদের আরও নতুন ৩৬টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে আমাদের ৩৫টি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র রয়েছে। আমরা সেটাকে বৃদ্ধি করে ৭৫টি ওয়ার্ডেই সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা সকল জায়গায় শরীরচর্চা কেন্দ্র রাখতে চাই। আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো- প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই জনগণের জন্য ব্যায়ামাগার সেবা নিশ্চিত করা।

 

মেয়র বলেন, ‘আমাদের শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলো বেশিরভাগই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। কোনো রকমভাবে আমাদের কাউন্সিলররা সহযোগিতায় আমরা সেগুলো পরিচালনা করে চলেছি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কর্মপরিকল্পনার আলোকে আমাদের তরুণ এবং জনগণের কল্যাণে যেন সেগুলো ব্যবহৃত হয়, সেদিকটা নিশ্চিত করা। এটা আমাদের মূলত কল্যাণমূলক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ। এখান থেকে আমরা খুব বেশি রাজস্ব আয় করতে চাই না। আমাদের জনগণ বিশেষ করে তরুণ সমাজ যেন বিপথে না গিয়ে সুস্থ শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করতে পারে- সেজন্য প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই আমরা এই ব্যবস্থা রাখতে চাই। যাতে করে সেই এলাকার তরুণ প্রজন্মসহ সকল শ্রেণির জনগোষ্ঠী যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে। সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে পরিচালন নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে।

 

কমিটির সুপারিশের আলোকে এলাকাভেদে ব্যায়ামাগারগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘যারা আবেদন করবেন তাদের সকলের জন্য এলাকাভেদে ভাড়া নির্ধারিত হবে। এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে কমিটির মাধ্যমে এই ভাড়া নির্ধারণ করতে চাই। ব্যবসায়িক এলাকায় হয়তো প্রতি বর্গফুট ১০০ টাকা হারে হতে পারে। কিন্তু অনেক এলাকায় দশ-বিশ টাকাও হয়তো বেশি হয়ে যাবে। সেটা আমরা কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণ করব।

 

বিদ্যমান আয়তন, সুবিধাদি ও যন্ত্রপাতি বিবেচনা করে ব্যায়ামাগারগুলোকে ক, খ ও গ তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। সেজন্য করপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও ভিন্নতা থাকবে। যে সকল ব্যায়ামাগারে সিটি করপোরেশনের যন্ত্রপাতি থাকবে, সে সকল ব্যামাগারের বাৎসরিক আয়ের ১৫ শতাংশ এবং যে সকল ব্যায়ামাগারে করপোরেশনের যন্ত্রপাতি নেই তা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয়ের ১০ শতাংশ সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। যে সকল ক্ষেত্রে একাধিক ইজারাদার পাওয়া যাবে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ইজারাদারকে ইজারা দেওয়া হবে। যারা ব্যায়ামাগার পরিচালনা করবেন তাদের অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।

 

বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com