ঢাকা থেকে চুরির ফোন চলে যেত দেশের বিভিন্ন স্থানে

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইলফোন চুরি হচ্ছে। কিন্তু এসব ফোন চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও সেই ফোন উদ্ধারের রেকর্ড খুব কম। সম্প্রতি রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় একটি বাসা থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে।

 

পুলিশ জানতে পেরেছে, ফোনগুলো চুরির পর পাঠিয়ে দেওয়া হতো ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে। পরে সেই চক্র এসব ফোন হাতে পেয়ে সেগুলোর আইএমই নম্বর বদল করে এবং ভেঙে খুচরা যন্ত্রাংশ বানিয়ে বিক্রি করত।

রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. শহীদুল্লাহ।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্যকে ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা।

 

শহীদুল্লাহ বলেন, ওই বাসা থেকে কয়েকটি মোবাইল চুরি হয়। এর মধ্যে একটিতে ‘ফাইন্ড টু মি’ নামের একটি অ্যাপস চালু ছিল। সেই অ্যাপসের সূত্র ধরে আমরা মোবাইলগুলো একটি কুরিয়ার সার্ভিসে শনাক্ত করি এবং কুরিয়ারটি থেকে বেশ কিছু মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের গ্রেফতারের পর আমরা একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি, যারা ঢাকায় মোবাইলগুলো চুরি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দিত।

mob2

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কলাবাগানের ঘটনায় আমরা কুরিয়ারে পাঠানো মোবাইল ও ল্যাপটপগুলো কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে উদ্ধার করেছি। আমরা এই চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। যারা ঢাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে মোবাইলফোনগুলো চুরি করে ঢাকার বাইরে নিয়ে বিক্রি করত। তারা সক্রিয়ভাবে চোরাই নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত।

 

ডিসি জানান, চক্রটি পরস্পরের যোগসাজসে রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল, ল্যাপটপ চুরির পর সেগুলো অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে সেগুলোর আইএমআই নম্বর পরিবর্তন করত। এছাড়া মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথকভাবে খুলে স্বল্পমূল্যে অন্যত্র বিক্রি করত।

 

পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ কলাবাগান এলাকার একটি বাসায় চুরির ঘটনায় মামলা হলে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারা ওই এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা যাচাই শুরু করে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করেন তদন্তকারীরা। শেষে ঢাকা ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মামলার চুরি যাওয়া চারটি মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট ৪২টি মোবাইল ও তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।   সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের

» সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ডা. জুবাইদা রহমান

» জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করবেন এটিএম মা’ছুম

» পাকিস্তানকে ভয় পায় ভারত: ইলিয়াস

» ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির

» আপাতত গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না সরকার: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

» ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ: প্রেস সচিব

» র‍্যাব অফিসে এএসপি পলাশের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার, পাশে চিরকুট

» লক্ষ্মীপুরে বিআরটিএ বাড়তি টাকা আদায়ের সত্যতা পেয়েছে দুদক

» সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে প্রাইম ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ঢাকা থেকে চুরির ফোন চলে যেত দেশের বিভিন্ন স্থানে

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইলফোন চুরি হচ্ছে। কিন্তু এসব ফোন চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও সেই ফোন উদ্ধারের রেকর্ড খুব কম। সম্প্রতি রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় একটি বাসা থেকে মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে।

 

পুলিশ জানতে পেরেছে, ফোনগুলো চুরির পর পাঠিয়ে দেওয়া হতো ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে। পরে সেই চক্র এসব ফোন হাতে পেয়ে সেগুলোর আইএমই নম্বর বদল করে এবং ভেঙে খুচরা যন্ত্রাংশ বানিয়ে বিক্রি করত।

রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. শহীদুল্লাহ।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্যকে ঢাকা ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা।

 

শহীদুল্লাহ বলেন, ওই বাসা থেকে কয়েকটি মোবাইল চুরি হয়। এর মধ্যে একটিতে ‘ফাইন্ড টু মি’ নামের একটি অ্যাপস চালু ছিল। সেই অ্যাপসের সূত্র ধরে আমরা মোবাইলগুলো একটি কুরিয়ার সার্ভিসে শনাক্ত করি এবং কুরিয়ারটি থেকে বেশ কিছু মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের গ্রেফতারের পর আমরা একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি, যারা ঢাকায় মোবাইলগুলো চুরি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দিত।

mob2

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কলাবাগানের ঘটনায় আমরা কুরিয়ারে পাঠানো মোবাইল ও ল্যাপটপগুলো কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে উদ্ধার করেছি। আমরা এই চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। যারা ঢাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে মোবাইলফোনগুলো চুরি করে ঢাকার বাইরে নিয়ে বিক্রি করত। তারা সক্রিয়ভাবে চোরাই নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত।

 

ডিসি জানান, চক্রটি পরস্পরের যোগসাজসে রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল, ল্যাপটপ চুরির পর সেগুলো অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে সেগুলোর আইএমআই নম্বর পরিবর্তন করত। এছাড়া মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথকভাবে খুলে স্বল্পমূল্যে অন্যত্র বিক্রি করত।

 

পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ কলাবাগান এলাকার একটি বাসায় চুরির ঘটনায় মামলা হলে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারা ওই এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা যাচাই শুরু করে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করেন তদন্তকারীরা। শেষে ঢাকা ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মামলার চুরি যাওয়া চারটি মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট ৪২টি মোবাইল ও তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।   সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com