ছবি সংগৃহীত
ধর্ম ডেস্ক :নামাজ ফরজ ইবাদত ও ইসলামের অন্যতম রুকন। নামাজ মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎস্বরূপ। আল্লাহর রাসুলের (স.) ভাষায়- ‘মুমিন যখন নামাজে থাকে সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে নিভৃতে কথা বলে।’ (সহিহ বুখারি: ৪১৩)
তাই নামাজে এমনভাবে দাঁড়ানো এবং পোশাক পরিচ্ছদ এমন হওয়া উচিত, যেভাবে হলে সর্বোচ্চ আদব ও ভয় প্রকাশ পায়।
ইসলামি আইনশাস্ত্রবিদদের মতে, জামার হাতা কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। তাই হাতা গোটানো থাকলে নামাজের আগেই তা নামিয়ে নেবে। কেউ যদি হাতা গোটানো অবস্থায় নামাজ শুরু করে দেয়, তাহলে নামাজের ভেতরই অল্প অল্প করে হাতা নামিয়ে নেবে। (সহিহ বুখারি: ৮১০; উমদাতুল কারি: ৬/৯১; ফতোয়ায়ে সিরাজিয়া: পৃ. ১১; আলমুলতাকাত: পৃ. ৫২; ফাতহুল কাদির: ১/৩৫৯; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/২৮৭; আদ্দুররুল মুখতার: ১/৬৪০)
নামাজে কখনও নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করা উচিত নয়, যাতে শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণ প্রকাশ পায়। বরং মালিকের সামনে নিজেকে গোলাম হিসেবেই উপস্থাপন করতে হবে।
এছাড়াও যতটা সম্ভব পরিপাটি হয়ে, উত্তম পোশাক পরে নামাজে দাঁড়ানো উচিত। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
তবে পুরনো কাপড় পরাতে দোষ নেই। তা যেন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখা ভালো। অহংকার আসে এমন কাপড় পরিধান করা বাঞ্ছনীয় নয়। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩৩৩)