চারজন বিশিষ্ট নারী জান্নাতে নারীদের সর্দার হবেন। তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিসে তাদের আলোচনা ও বর্ণনা এসেছে। জান্নাতে তারা প্রধান বা নেত্রী হওয়ার বিষয়টি সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, জান্নাতের নারীদের সর্দার হবে মারিয়াম বিনতে ইমরান, ফাতেমা, খাদিজা ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া। (তাবরানি, হাদিস : ৪১৫/১১)
আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) জমিনে চারটি রেখা টানেন। অতঃপর বলেন, তোমরা কী জানো, এগুলো কী? সাহাবিরা বলেন, আল্লাহ ও তার রাসুল ভালো জানেন।
তিনি বলেন, ‘জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বোত্তম নারী হলো খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রা.), ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (রা.), মারিয়াম বিনতে ইমরান ও আসিয়া বিনতে মাজাহিম।’ (মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস : ২৯০৩)
পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহ মুমিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর উপমা পেশ করছেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ, আমার জন্য জান্নাতে আপনার কাছে একটি ঘর নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফেরাউন ও তার কার্যাবলি থেকে রক্ষা করুন এবং আমাকে জালেম জনগোষ্ঠী থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত : ১১)
আরবি: وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ آمَنُوا اِمْرَأَةَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ: অদ্বোয়ারবাল্লা-হু মাছালাল্ লিল্লাযীনা আ-মানুম্ রয়াতা ফির‘আউন্। ইয্ ক্ব-লাত্ রব্বিব্নি লী ‘ইন্দাকা বাইতান্ ফিল্ জ্বান্নাতি অনাজজ্বিনী মিন্ ফির‘আউনা অ ‘আমালিহী অনাজজ্বিনী মিনাল্ ক্বওমিজ্ জোয়া-লিমীন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘স্মরণ করুন, যখন ফেরেশতারা বলেছিল, হে মারিয়াম, আল্লাহ তোমাকে মনোনীত ও পবিত্র করেছেন, বিশ্বের নারীদের মধ্যে তোমাকে মনোনীত করেছেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৪২)
আরবি: وَإِذْ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ يَا مَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণ: অইয্ ক্বা-লাতিল্ মালা – য়িকাতু ইয়া-র্মাইয়ামু ইন্নাল্লা-হাছ ত্বোয়াফা-কি অ ত্বোয়াহ্হারাকি অছ্ত্বোয়াফা-কি ‘আলা-নিসা – য়িল্ ‘আ-লামীন্।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, ‘জিবরাইল (আ.) রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, ঐ যে খাদিজা পাত্র করে খাবার বা পানীয় নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। আপনার কাছে এলে তাকে তার রবের পক্ষ থেকে সালাম বলবেন। এবং তাকে জান্নাতে মুক্তার তৈরি ঘরের সুসংবাদ দেবেন, যেখানে কোনো কোলাহল ও ক্লান্তি থাকবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৮২০; মুসলিম, হাদিস : ২৪৩২) সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম