জান্নাতি যুবকদের সরদার হবেন যারা

ছবি: সংগৃহীত

 

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা (রা.) এর দৌহিত্র এবং আলী (রা.) ও ফাতিমা (রা.) এর পুত্র ছিলেন হাসান (রা.)। পিতা আলী (রা.) এর পর তিনি ইসলামি খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন।

হাসান (রা.) তৃতীয় হিজরির ১৫ রমজান মদিনা মুনাওয়ারায় জন্মগ্রহণ করেন। মহানবী (সা.) এর ওফাতকালে হাসান (রা.) এর বয়স ছিল সাড়ে সাত বছর।

হাসান (রা.) শৈশবে ফাতিমা (রা.) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং আলী (রা.) এর পরিচর্যায় জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি তার নানা মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছ থেকে কিছু হাদিস মুখস্থ করেন। আর পিতা আলী (রা.) ও মাতা ফাতেমা (রা.) থেকে হাদিস শেখেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর খুব প্রিয় ছিলেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) হাসান (রা.) এর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। কখনো নিজের কাঁধে ওঠাতেন, কখনো তাকে কোলে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি তাকে প্রাণাধিক ভালোবাসতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হাসান ও হুসাইনকে ভালোবাসে, সে আমাকেই ভালোবাসে এবং যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, সে আমার প্রতিই বিদ্বেষ পোষণ করে’। (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ১৪৩)

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর চেহারার সঙ্গে হাসান (রা.) এর অত্যধিক মিল ছিল। আনাস (রা.) বলেন, হাসান ইবনে আলী (রা.)এর চেয়ে নবী করিম (সা.)এর সঙ্গে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিলেন না। (বুখারি, হাদিস: ৩৭৫২)

হাসান (রা.) এর বিশেষ মর্যাদার আরেকটি দিক হচ্ছে, তিনি আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। সাফিয়া বিনতে শায়বা (রা.) বলেন, আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) সকালে বের হলেন। তার পরনে ছিল কালো পশমের নকশি করা চাদর।

হাসান (রা.) এলেন, তিনি তাকে চাদরের ভেতর প্রবেশ করিয়ে নিলেন। হুসাইন (রা.) এলেন, তিনিও চাদরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লেন। ফাতেমা (রা.) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। তারপর আলী (রা.) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন। তারপর বললেন, হে আহলে বাইত! আল্লাহ তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূর করে তোমাদের পবিত্র করতে চান। (সূরা: আহজাব, আয়াত: ৩৩) (মুসলিম, হাদিস: ২৪২৪)

হাসান (রা.) এর মর্যাদার সবচেয়ে বড় দিক হলো, তিনি জান্নাতি যুবকদের নেতা হবেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হাসান ও হুসাইন জান্নাতি যুবকদের সরদার’। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬৮) সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» প্রতীক তালিকায় থাকছে না শাপলা, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত

» গুলি চালানোর নির্দেশের কল রেকর্ড বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র: তাজুল ইসলাম

» বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহীমের বাড়িতে নাহিদ-সারজিস

» বিএসএফ খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে : এনসিপির আহ্বায়ক

» গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে : তথ্য উপদেষ্টা

» ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অতীতের মতো রেজাল্ট দেয়া হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

» ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ ‍প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব

» ইরানের হামলার ক্ষতি দেখে ইসরায়েলের চক্ষু চড়ক গাছ!

» বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

» ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জান্নাতি যুবকদের সরদার হবেন যারা

ছবি: সংগৃহীত

 

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা (রা.) এর দৌহিত্র এবং আলী (রা.) ও ফাতিমা (রা.) এর পুত্র ছিলেন হাসান (রা.)। পিতা আলী (রা.) এর পর তিনি ইসলামি খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন।

হাসান (রা.) তৃতীয় হিজরির ১৫ রমজান মদিনা মুনাওয়ারায় জন্মগ্রহণ করেন। মহানবী (সা.) এর ওফাতকালে হাসান (রা.) এর বয়স ছিল সাড়ে সাত বছর।

হাসান (রা.) শৈশবে ফাতিমা (রা.) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং আলী (রা.) এর পরিচর্যায় জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি তার নানা মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছ থেকে কিছু হাদিস মুখস্থ করেন। আর পিতা আলী (রা.) ও মাতা ফাতেমা (রা.) থেকে হাদিস শেখেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর খুব প্রিয় ছিলেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) হাসান (রা.) এর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। কখনো নিজের কাঁধে ওঠাতেন, কখনো তাকে কোলে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি তাকে প্রাণাধিক ভালোবাসতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হাসান ও হুসাইনকে ভালোবাসে, সে আমাকেই ভালোবাসে এবং যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, সে আমার প্রতিই বিদ্বেষ পোষণ করে’। (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ১৪৩)

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর চেহারার সঙ্গে হাসান (রা.) এর অত্যধিক মিল ছিল। আনাস (রা.) বলেন, হাসান ইবনে আলী (রা.)এর চেয়ে নবী করিম (সা.)এর সঙ্গে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিলেন না। (বুখারি, হাদিস: ৩৭৫২)

হাসান (রা.) এর বিশেষ মর্যাদার আরেকটি দিক হচ্ছে, তিনি আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। সাফিয়া বিনতে শায়বা (রা.) বলেন, আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) সকালে বের হলেন। তার পরনে ছিল কালো পশমের নকশি করা চাদর।

হাসান (রা.) এলেন, তিনি তাকে চাদরের ভেতর প্রবেশ করিয়ে নিলেন। হুসাইন (রা.) এলেন, তিনিও চাদরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লেন। ফাতেমা (রা.) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। তারপর আলী (রা.) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন। তারপর বললেন, হে আহলে বাইত! আল্লাহ তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূর করে তোমাদের পবিত্র করতে চান। (সূরা: আহজাব, আয়াত: ৩৩) (মুসলিম, হাদিস: ২৪২৪)

হাসান (রা.) এর মর্যাদার সবচেয়ে বড় দিক হলো, তিনি জান্নাতি যুবকদের নেতা হবেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হাসান ও হুসাইন জান্নাতি যুবকদের সরদার’। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬৮) সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com