ছবি সংগীত
প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস ডিম। এটি একটি পুষ্টিকর খাবার। একটি ডিমে প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়াও ৫ গ্রাম ফ্যাট আছে, তবে সেটি মোনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা উপকারী। এর পাশাপাশি ডিমে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোলিন, বায়োটিন, ভিটামিন এ, লুটেইন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জেক্সানথিনের মতো উপাদান রয়েছে।
গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হয়। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল দিনে কত ডিম খাওয়া উচিত? কেউ দিনে পাঁচ-ছয়টি ডিম খেলে কি কোনও ক্ষতি হবে?
হার্ভার্ড মেডিক্যালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ডিম সীমিত পরিমাণে খেলে, তা উচ্চ কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। একই সময়ে, প্রোটিন গ্রহণ সম্পূর্ণ হয় এবং শরীর প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডও পায়। এতে শরীর সচল থাকে এবং মাংসপেশিও শক্তিশালী হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস। ডিম এই জন্য উপযুক্ত বিকল্প। কিন্তু যতই ভালো হোক না কেন, বেশি খাওয়া অবশ্যই ক্ষতির কারণ হবে। ডিমের ক্ষেত্রেও তাই। প্রতিদিন পাঁচ বা ছয়টি ডিম খেলে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। কিন্তু কাউকে এত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে না কারণ অন্যান্য জিনিস থেকেও প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। তাই ডিম প্রোটিনে ভরপুর হলেও বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
প্রোটিনের জন্য অন্যান্য খাবার খাওয়াও প্রয়োজন। ভাতের সঙ্গে ডাল খেলে এতে প্রোটিনও থাকবে। রুটি এবং সবজির মতো অন্যান্য জিনিসেও প্রোটিন থাকে। তাই অন্যান্য খাবারের কথা মাথায় রেখে দৈনিক মাত্র ২ থেকে ৩টি ডিম খাওয়া উচিত। এর চেয়ে বেশি ডিম খেলে প্রোটিনের অন্যান্য উৎস ত্যাগ করতে হবে। সেটি সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন মাত্র দুই থেকে তিনটি ডিম খাওয়াই ভালো। তবে ক্লিনিক্যালি প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বেশি ডিম বেশি প্রোটিন তৈরি করবে। প্রোটিন হজম করার জন্য পর্যাপ্ত এনজাইম থাকবে না। তারপরে এর উপাদানগুলো বেরিয়ে আসবে এবং কিডনির উপর বোঝা বাড়াবে।
ব্রিটিশ এনএইচএসের এক প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, ভিটামিন এ-এর অতিরিক্ত ব্যবহার বৃদ্ধ বয়সে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এসব মাথায় রেখে দিনে মাত্র একবার বা দুইবার ডিম খান। সূূএ: ঢাকা মেইল ডটকম