জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাতারে কাতারে ঈদ জামাতে আসেন মুসল্লিরা। আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন তৎপর।
আজ সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কদম ফোয়ারা, দক্ষিণে দোয়েল চত্বর ও সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট হয়ে শিক্ষা ভবন, উত্তরে মৎস্য ভবন ও বার কাউন্সিলের সামনে চেক করে আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করেন পুরুষ ও নারীরা।
ঈদ জামাত ঘিরে চারপাশের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুরো এলাকায় বসানো হয়েছে গোপন অত্যাধুনিক মুভি ও সিসি ক্যামেরা। পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র্যাবসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে এবারের জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
মাঠের আশপাশের রাস্তায় এবং প্রতিটি উঁচু ভবনের ছাদে বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে শক্তিশালী বাইনোকুলার দিয়ে পুরো এলাকার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আর ওয়াচ টাওয়ারে দায়িত্বরতদের মধ্যে অনেকেরই কাছেই থাকবে অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল। এছাড়া ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায়ও বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক গোপন মুভি ক্যামেরা।
জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারকেরা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য,
বিদেশি কূটনৈতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিকসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা। এজন্য নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল ও পার্কিংয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।