জাকাতের টাকা মাদ্রাসায় দেওয়া যাবে কি?

ছবি সংগৃহীত

 

জাকাত ফরজ ইবাদত এবং ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। জাকাত দিতে হয় নির্ধারিত খাতে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত নির্ধারিত ৮টি খাত হলো- ১. ফকির ২. মিসকিন ৩. আমেল তথা জাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি ৪. (নওমুসলিমের) মন জয় করার জন্য ৫. দাসমুক্তি তথা দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ লোক। ৬. ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধে জাকাত দেওয়া যাবে ৭. ফি সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর পথে এবং ৮. মুসাফির। (সুরা তাওবা: ৬০)

 

এই ৮টি খাতেই জাকাত দিতে হবে। জাকাতের খাতগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক। তাই জাকাত আদায় হওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি। অন্যথায় জাকাত আদায় হয় না। এসব কারণে মাদ্রাসায় জাকাত দেওয়া জায়েজ কি না জানতে চান অনেকে।

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, দরিদ্র ও এতিম-মিসকিন ছাত্রদের জন্য মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ডে (জাকাত ফান্ড) জাকাত দিলে জাকাত আদায় হয়ে যাবে। মাদ্রাসায় সাধারণত দুটি ফান্ড থাকে। একটা জেনারেল ফান্ড, অপরটি লিল্লাহ ফান্ড। লিল্লাহ ফান্ডের দায়িত্বই হলো জাকাতের টাকা গ্রহণ করা এবং সেই টাকা দরিদ্র ও এতিম-মিসকিন ছাত্রদের জরুরি প্রয়োজনে খরচ করা। মাদ্রাসা ওসব গরিব ছাত্রদের উকিল হয়ে টাকাটা গ্রহণ করে মাত্র।

 

তাই জাকাতের টাকা মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ডে দেওয়া যাবে। আর মাদরাসায় জাকাত দেওয়া উত্তম। কারণ এতে দুইরকম সওয়াব লাভের আশা করা যায়। এক. সঠিক হকদারের কাছে জাকাত পৌঁছে যায়। দুই. দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতার সওয়াব।

 

তবে, জাকাতের টাকা দিয়ে মাদরাসার জমি ক্রয় করা এবং ছাত্রাবাস নির্মাণ করা জায়েজ নয়। এসব খাতে খরচের জন্য জাকাতের টাকা দেওয়াও বৈধ নয়। কেননা, এগুলো জাকাতের খাত নয়। মাদরাসা-মসজিদ নির্মাণ করতে হবে মুসলমানদের স্বতঃস্ফূর্ত সাধারণ অনুদান দিয়ে।

(আদদুররুল মুখতার মাআ রদ্দুল মুহতার: ৩/২৯১; বাহরুর রায়েক: ২/৪৩৭; হিন্দিয়া: ১/১৮৭; তাবয়িনুল হাকায়েক:২/১২৪; বাদায়েউস সনায়ে: ২/১৪২; আহকামুল কুরআন জাস্সাস: ৩/১২৮; রদ্দুল মুহতার: ২/৩৪৪) সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আবারও বিচ্ছেদ শ্রাবন্তীর, যা বললেন রোশন সিং

» নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ সুপারিশের আশায় আসবেন না:সারজিস আলম

» এর আগে শেখ হাসিনা দেশটার নাম দিয়েছিল ‘মুজিবল্যান্ড’: ইশরাক হোসেন

» চারুকলায় যেভাবে সাজানো হচ্ছে হাসিনাকে

» হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা নম্বর থেকে আসা ছবি ডাউনলোড করলেই বিপদ!

» ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে আহমাদুল্লাহর ৫ নির্দেশনা

» নববর্ষের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের দুই স্টেশন

» কমেছে মুরগির দাম, মাছের বাজার চড়া

» হোটেল থেকে নারীসহ আটক ১৫

» প্লাসটিক বিউটির ভিতরে প্লাসটিকের মন; ঐশ্বরিয়া প্রসঙ্গে বিবেক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জাকাতের টাকা মাদ্রাসায় দেওয়া যাবে কি?

ছবি সংগৃহীত

 

জাকাত ফরজ ইবাদত এবং ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। জাকাত দিতে হয় নির্ধারিত খাতে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত নির্ধারিত ৮টি খাত হলো- ১. ফকির ২. মিসকিন ৩. আমেল তথা জাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি ৪. (নওমুসলিমের) মন জয় করার জন্য ৫. দাসমুক্তি তথা দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ লোক। ৬. ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধে জাকাত দেওয়া যাবে ৭. ফি সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর পথে এবং ৮. মুসাফির। (সুরা তাওবা: ৬০)

 

এই ৮টি খাতেই জাকাত দিতে হবে। জাকাতের খাতগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক। তাই জাকাত আদায় হওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দেওয়া জরুরি। অন্যথায় জাকাত আদায় হয় না। এসব কারণে মাদ্রাসায় জাকাত দেওয়া জায়েজ কি না জানতে চান অনেকে।

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, দরিদ্র ও এতিম-মিসকিন ছাত্রদের জন্য মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ডে (জাকাত ফান্ড) জাকাত দিলে জাকাত আদায় হয়ে যাবে। মাদ্রাসায় সাধারণত দুটি ফান্ড থাকে। একটা জেনারেল ফান্ড, অপরটি লিল্লাহ ফান্ড। লিল্লাহ ফান্ডের দায়িত্বই হলো জাকাতের টাকা গ্রহণ করা এবং সেই টাকা দরিদ্র ও এতিম-মিসকিন ছাত্রদের জরুরি প্রয়োজনে খরচ করা। মাদ্রাসা ওসব গরিব ছাত্রদের উকিল হয়ে টাকাটা গ্রহণ করে মাত্র।

 

তাই জাকাতের টাকা মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ডে দেওয়া যাবে। আর মাদরাসায় জাকাত দেওয়া উত্তম। কারণ এতে দুইরকম সওয়াব লাভের আশা করা যায়। এক. সঠিক হকদারের কাছে জাকাত পৌঁছে যায়। দুই. দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতার সওয়াব।

 

তবে, জাকাতের টাকা দিয়ে মাদরাসার জমি ক্রয় করা এবং ছাত্রাবাস নির্মাণ করা জায়েজ নয়। এসব খাতে খরচের জন্য জাকাতের টাকা দেওয়াও বৈধ নয়। কেননা, এগুলো জাকাতের খাত নয়। মাদরাসা-মসজিদ নির্মাণ করতে হবে মুসলমানদের স্বতঃস্ফূর্ত সাধারণ অনুদান দিয়ে।

(আদদুররুল মুখতার মাআ রদ্দুল মুহতার: ৩/২৯১; বাহরুর রায়েক: ২/৪৩৭; হিন্দিয়া: ১/১৮৭; তাবয়িনুল হাকায়েক:২/১২৪; বাদায়েউস সনায়ে: ২/১৪২; আহকামুল কুরআন জাস্সাস: ৩/১২৮; রদ্দুল মুহতার: ২/৩৪৪) সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com