ছেলেদের চুল ভালো রাখার উপায়

ছবি সংগৃহীত

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্টে এখন নারী-পুরুষ কোনো বাছবিচার নেই। হেয়ার জেল থেকে হেয়ার কালার, ব্যবহারে পিছিয়ে নেই কেউ। কিন্তু আপনি যেসব পণ্য ব্যবহার করছেন, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, কখনো ভেবেছেন? প্রতি ১০ জন পুরুষের প্রায় চারজন হেয়ারফল বা টাক সমস্যার শিকার। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললেই মিলবে সমাধান। সাধারণ তেল শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি চুলের যত্নে নিন ঘরোয়া স্টেপ-

 

ধূমপানে ‘না’

মাথার স্ক্যাল্পে সঠিক মাত্রায় রক্তপ্রবাহ চুলের সতেজতা ধরে রাখতে এবং হেয়ার গ্রোথে সাহায্য করে। নিয়মিত ধূমপান মাথায় প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। হেয়ার গ্রোথ বিঘ্নিত হয়। তাই হেয়ার গ্রোথকে ‘হ্যাঁ’ বলতে ধূমপানকে ‘না’ বলতে শিখুন।

পর্যাপ্ত পানি পান

আমাদের দেশের জলবায়ু উষ্ণ-আর্দ্র প্রকৃতির। প্রত্যেকের উচিত সারা দিনে পরিমাণমতো পানি পান করা। দেহে পানির ঘাটতি দেখা দিলে হেয়ার গ্রোথ ও হেয়ার ফলের মতো সমস্যা সামনে আসে। দিনে অন্তত তিন লিটার পানি খাবেন। একঘেয়েমি মনে হলে পানির সঙ্গে মেশাতে পারেন ফ্রুট জুস।

 

গ্রোথ বাড়ায় গ্রিন টি

চুল ফিট রাখতে গ্রিন টির বিশ্বজোড়া কদর। বিশেষত চুলপড়া কমাতে খুবই উপকারী। মাঝারি মাপের কাপে পানি গরম করে দুটি টি-ব্যাগ দিয়ে দিন। সময় নিয়ে ঠান্ডা করে মাথার স্ক্যাল্প পর্যন্ত মাখুন। প্রায় আট থেকে ১০ দিন ব্যবহারে চুল পড়ার হার কমে।

 

A For অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার প্রোটিওলাইটিক এনজাইম, স্ক্যাল্পের মৃত কোষ সরিয়ে হেয়ারগ্রোথে প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত দূষণ স্বাভাবিক হেয়ার গ্রোথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গোসলের আগে অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুল দূষণমুক্ত হয়, হেয়ারফল কমে এবং গ্রে-হেয়ার প্রবলেম হ্রাস পায়। সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। আবার অ্যালোভেরার পাতা থেকে কাঁদ বের করে সামান্য পানি মিশিয়ে একদিন ফ্রিজে রেখে পরের দিন গোসলের আগে চুলে লাগাতে পারেন।

 

মাঝে মাঝে পিঁয়াজের রস

পিঁয়াজের রস হেয়ার গ্রোথে ও নতুন চুল তৈরিতে অব্যর্থ। পিঁয়াজে সালফার থাকে যা চুল পড়া, চুলের ভেঙে যাওয়া ও অকালে চুল পড়ে যাওয়া আটকায়। পিঁয়াজের রস চুলের সঠিক pH লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুলে পুষ্টি প্রদান করে। খুব কম সময়ে চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। বতর্মানে একাধিক ব্র্যান্ডের অনিয়ন অয়েল বাজারে পাওয়া যায়। সপ্তাহে তিন দিন রাতে মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। মাসখানেকের মধ্যেই তফাত চোখে পড়বে।  তথ্য সূত্র : সানন্দা

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম

» নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ

» মন্ত্রণালয়ের চলমান কার্যক্রম দ্রুত সমাপ্ত করতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

» নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’

» গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

» ‘স্বৈরাচারের দোসররা গুজব ছড়িয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকে দমাতে চাইছে’

» কুষ্টিয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ট্যাপেন্টাডলসহ যুবক আটক

» বাটা স্টারলাইট কালেকশনের সাথে আপনার ঈদ হোক আরও জমজমাট!

» চার দিনের মাথায় যমুনা সার কারখানা আবারও উৎপাদন বন্ধ

» সার্কুলার ইকোনমি নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক, ইআইবি এবং ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ছেলেদের চুল ভালো রাখার উপায়

ছবি সংগৃহীত

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্টে এখন নারী-পুরুষ কোনো বাছবিচার নেই। হেয়ার জেল থেকে হেয়ার কালার, ব্যবহারে পিছিয়ে নেই কেউ। কিন্তু আপনি যেসব পণ্য ব্যবহার করছেন, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, কখনো ভেবেছেন? প্রতি ১০ জন পুরুষের প্রায় চারজন হেয়ারফল বা টাক সমস্যার শিকার। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললেই মিলবে সমাধান। সাধারণ তেল শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি চুলের যত্নে নিন ঘরোয়া স্টেপ-

 

ধূমপানে ‘না’

মাথার স্ক্যাল্পে সঠিক মাত্রায় রক্তপ্রবাহ চুলের সতেজতা ধরে রাখতে এবং হেয়ার গ্রোথে সাহায্য করে। নিয়মিত ধূমপান মাথায় প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। হেয়ার গ্রোথ বিঘ্নিত হয়। তাই হেয়ার গ্রোথকে ‘হ্যাঁ’ বলতে ধূমপানকে ‘না’ বলতে শিখুন।

পর্যাপ্ত পানি পান

আমাদের দেশের জলবায়ু উষ্ণ-আর্দ্র প্রকৃতির। প্রত্যেকের উচিত সারা দিনে পরিমাণমতো পানি পান করা। দেহে পানির ঘাটতি দেখা দিলে হেয়ার গ্রোথ ও হেয়ার ফলের মতো সমস্যা সামনে আসে। দিনে অন্তত তিন লিটার পানি খাবেন। একঘেয়েমি মনে হলে পানির সঙ্গে মেশাতে পারেন ফ্রুট জুস।

 

গ্রোথ বাড়ায় গ্রিন টি

চুল ফিট রাখতে গ্রিন টির বিশ্বজোড়া কদর। বিশেষত চুলপড়া কমাতে খুবই উপকারী। মাঝারি মাপের কাপে পানি গরম করে দুটি টি-ব্যাগ দিয়ে দিন। সময় নিয়ে ঠান্ডা করে মাথার স্ক্যাল্প পর্যন্ত মাখুন। প্রায় আট থেকে ১০ দিন ব্যবহারে চুল পড়ার হার কমে।

 

A For অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার প্রোটিওলাইটিক এনজাইম, স্ক্যাল্পের মৃত কোষ সরিয়ে হেয়ারগ্রোথে প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত দূষণ স্বাভাবিক হেয়ার গ্রোথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গোসলের আগে অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুল দূষণমুক্ত হয়, হেয়ারফল কমে এবং গ্রে-হেয়ার প্রবলেম হ্রাস পায়। সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। আবার অ্যালোভেরার পাতা থেকে কাঁদ বের করে সামান্য পানি মিশিয়ে একদিন ফ্রিজে রেখে পরের দিন গোসলের আগে চুলে লাগাতে পারেন।

 

মাঝে মাঝে পিঁয়াজের রস

পিঁয়াজের রস হেয়ার গ্রোথে ও নতুন চুল তৈরিতে অব্যর্থ। পিঁয়াজে সালফার থাকে যা চুল পড়া, চুলের ভেঙে যাওয়া ও অকালে চুল পড়ে যাওয়া আটকায়। পিঁয়াজের রস চুলের সঠিক pH লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুলে পুষ্টি প্রদান করে। খুব কম সময়ে চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। বতর্মানে একাধিক ব্র্যান্ডের অনিয়ন অয়েল বাজারে পাওয়া যায়। সপ্তাহে তিন দিন রাতে মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। মাসখানেকের মধ্যেই তফাত চোখে পড়বে।  তথ্য সূত্র : সানন্দা

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com