প্রথমে চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। তা দেখে কেউ ঢাকায় এলে মৌখিক পরীক্ষার কথা বলে নেওয়া হতো রুমে। সেখানে নির্যাতন করে স্বজনদের ফোন করিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায় করা হতো। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বিভিন্ন মানুষকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। এমন একটি চক্রের দুই সদস্য র্যাবের হাতে ধরা পড়লে তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানাতে পারে এলিট ফোর্সটি।
আজ (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে এমন একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
তারা হলেন- কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে রাজু আহমেদ (২১) এবং ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানউদ্দিন হালদা মার্কেটে এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. সুমন (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক। তিনি জানান, এই দুই ব্যক্তি অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায় করত। মূলত তারা বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখাত। পরে ভুক্তভোগীদের ভাইভা দেওয়ার কথা বলে একটি জায়গায় ডেকে নিত। সেখানে ভুক্তভোগীরা জড়ো হলে তাদেরকে একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। এরপর স্বজনদের ফোন দিয়ে বিভিন্ন নির্যাতনের শব্দ শোনানো হতো এবং মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হতো। এভাবে অনেকের কাছ থেকে তারা মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ফারজানা।