আশুলিয়ায় চলন্ত যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কে ফেলে দেয়ার অভিযোগে সুপারভাইজার ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তুহিন পরিবহনের দুরপাল্লার বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। আহত যাত্রী জহিরুল ইসলাম জহিরকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী পরিবার বাদী হয়ে বাসের ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরআগে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ঢাকামুখী তুহিন পরিবহন দুরপাল্লার বাস থেকে ওই যাত্রীকে ফেলে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী যাত্রী জহিরুল ইসলাম জহির চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার খৈয়াখালী গ্রামের আব্দুর রহমান কোম্পানীর ছেলে। তিনি ব্যবসায়িক কাজে বর্তমানে আশুলিয়ার জিরানীতে বসবাস করে আসছিলেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- তুহিন পরিবহনের বাসটির সুপারভাইজার রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার তেরখাদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ (৫০), বাসের সহকারী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার আলীনগর গ্রামের খাইজুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মোঃ মানিক (৪৮)। গাড়িটির চালক চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার ইউসুফ (৩২) এখনো পলাতক রয়েছেন।
এজহার সূত্রে জানায় যায়, বুধবার রাত ১২টার আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে বাড়ির উদ্দেশ্যে তুহিন পরিবহনের চট্টগ্রামগামী বাসে উঠেন। বাসটি বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর হয়ে যাচ্ছিলো। এসময় বাসে তিনজন ছাড়া অন্য কোন যাত্রী না থাকায় ছিনতাইয়ের সন্দেহে করে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় বাসের সুপারভাইজার ও হেলপার তাকে নামতে বাধা দেয়। এসময় জোর করে নামার চেষ্টা করলে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আশুলিয়া থানার এস আই মাসুদ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছি। তবে চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতাকৃত আসামিদের শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।