ছবি:সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আরও শক্তিশালী হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর কিছুটা দুর্বল হতে পারে। সে অবস্থায় বুধবার সকালে বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘হামুন’ কেন? মূলত ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘হামুন’ দিয়েছে ইরান। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ফার্সি ভাষায় মরুভূমিতে প্রাকৃতিক হ্রদ বা বড় জলাশয়কে বলা হয় হামুন। ফার্সি ভাষার এ হ্রদ বা জলাশয় থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে।
ভারতের অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ মিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হামুন’ ফার্সি শব্দ। এটি দিয়ে মরুভূমির হ্রদ বা জলাভূমিকে বোঝায়। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম বলছে, ‘হামুন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে সমতল ভূমি বা পৃথিবী। ফার্সি শব্দ ‘হামুন’ মানে ছোট্ট দৈত্য।
জেনে রাখা ভালো, ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু করে। সে সময় আটটি দেশ মিলে মোট ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। এদিকে এ নামগুলো থেকে নামকরণ করা শেষ হলে আবারও নতুন করে নামের প্রস্তাব করা হয়। যা অনুমোদন দেয় ডব্লিউএমও।
হামুনের পরে আসা ঘূর্ণিঝড়ের নামও নির্ধারণ করা আছে। যথা- মিধিলি (মালদ্বীপ), মিগজাউম (মিয়ানমার) ও রিমাল (ওমান)। তবে যে নামেই ঘূর্ণিঝড় আসুক না কেন? ঘূর্ণিঝড় বরাবরই ভয়ঙ্কর। তাই দেশের সরকার জনগণকে আগাম সতর্ক করে দিচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম