গ্রিসে তিন অভিযানে উদ্ধার ৮৯ অভিবাসনপ্রত্যাশী

ছবি সংগৃহীত

 

গ্রিসের মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ দূরের জনবসতিহীন দ্বীপে নোঙর করা পালতোলা একটি নৌকা থেকে ৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। মঙ্গলবার দেশটির উপকূলরক্ষীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্যালকোনেরা নামের একটি ছোট দ্বীপে অভিবাসীবোঝাই পালতোলা নৌকাটিকে প্রথম দেখতে পায় একটি ব্যক্তিগত জাহাজ। ওই দ্বীপটি গ্রিসের মিলোস ও পেলোপোনিসের মধ্যে অবস্থিত। প্রবল স্রোত এবং সমুদ্রের রুক্ষতার জন্য ওই এলাকাটি বহুল পরিচিত।

মঙ্গলবার উপকূলরক্ষীদের জাহাজের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর রাজধানী এথেন্সের দক্ষিণ-পূর্বের মূল ভূখণ্ড লাভরিওতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

 

একইদিনে, পৃথক আরেকটি অভিযানে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় আরও ১৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এজিয়ান সাগরের পূর্ব দিকের দ্বীপ সামোসের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।

সোমবার লেসবস দ্বীপ থেকেও ১৪ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা। পরদিনও একই দ্বীপ থেকে আরও ১৮ জনকে উদ্ধার করে তারা।

 

গত জুনে ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে গভীর অঞ্চলে আনুমানিক ৭৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে ডুবে যায় একটি নৌকা। এটি লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাচ্ছিল। সেই ঘটনায়, ১০৪ জনকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৮২টি। কিন্তু শত শত মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। যাদের আর বেঁচে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। ওই ঘটনায়, ঠিক সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা না করায় সমালোচনার মুখে পড়ে গ্রিস।

 

সম্প্রতি, অনিয়মিতপথে অভিবাসনপ্রত্যাশী আগমন বেড়েছে বলেও জানিয়েছে গ্রিস। কয়েক দশক ধরে, সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ায় নাগরিকদের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিবাসনের অন্যতম পছন্দের পথ গ্রিস। দেশটির পূর্ব দ্বীপগুলো তুরস্কের কাছে হওয়ার কারণে, এটি ছিল প্রধান প্রবেশপথ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসনের প্রতি সরকারের কঠোর নীতি নেওয়ায়, আগমনের হার কমেছে।

অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে গিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটিকে। আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে তাদের ডিপোর্ট বা জোর করে ফেরত পাঠানোর চর্চার জন্য অধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই গ্রিসের সমালোচনা করছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওচিত্রও প্রকাশ করেছে। তারপরেও, অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে গ্রিস।

সূএ : জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধমক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে চাইলে বিএনপি সহ্য করবে না : ফারুক

» পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দেশের স্বার্থে বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৫৩ জন গ্রেফতার

» হজ শেষে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি

» জামালপুরে নারী এগিয়ে চলা প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত

» জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  মোরেলগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

» ইসলামপুরে রহিম মেম্বার হত্যা সন্দেহে দুইজন আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গ্রিসে তিন অভিযানে উদ্ধার ৮৯ অভিবাসনপ্রত্যাশী

ছবি সংগৃহীত

 

গ্রিসের মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ দূরের জনবসতিহীন দ্বীপে নোঙর করা পালতোলা একটি নৌকা থেকে ৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। মঙ্গলবার দেশটির উপকূলরক্ষীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্যালকোনেরা নামের একটি ছোট দ্বীপে অভিবাসীবোঝাই পালতোলা নৌকাটিকে প্রথম দেখতে পায় একটি ব্যক্তিগত জাহাজ। ওই দ্বীপটি গ্রিসের মিলোস ও পেলোপোনিসের মধ্যে অবস্থিত। প্রবল স্রোত এবং সমুদ্রের রুক্ষতার জন্য ওই এলাকাটি বহুল পরিচিত।

মঙ্গলবার উপকূলরক্ষীদের জাহাজের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর রাজধানী এথেন্সের দক্ষিণ-পূর্বের মূল ভূখণ্ড লাভরিওতে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

 

একইদিনে, পৃথক আরেকটি অভিযানে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় আরও ১৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এজিয়ান সাগরের পূর্ব দিকের দ্বীপ সামোসের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।

সোমবার লেসবস দ্বীপ থেকেও ১৪ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা। পরদিনও একই দ্বীপ থেকে আরও ১৮ জনকে উদ্ধার করে তারা।

 

গত জুনে ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে গভীর অঞ্চলে আনুমানিক ৭৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে ডুবে যায় একটি নৌকা। এটি লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাচ্ছিল। সেই ঘটনায়, ১০৪ জনকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৮২টি। কিন্তু শত শত মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। যাদের আর বেঁচে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। ওই ঘটনায়, ঠিক সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা না করায় সমালোচনার মুখে পড়ে গ্রিস।

 

সম্প্রতি, অনিয়মিতপথে অভিবাসনপ্রত্যাশী আগমন বেড়েছে বলেও জানিয়েছে গ্রিস। কয়েক দশক ধরে, সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ায় নাগরিকদের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিবাসনের অন্যতম পছন্দের পথ গ্রিস। দেশটির পূর্ব দ্বীপগুলো তুরস্কের কাছে হওয়ার কারণে, এটি ছিল প্রধান প্রবেশপথ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসনের প্রতি সরকারের কঠোর নীতি নেওয়ায়, আগমনের হার কমেছে।

অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে গিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটিকে। আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় চাওয়ার সুযোগ না দিয়ে তাদের ডিপোর্ট বা জোর করে ফেরত পাঠানোর চর্চার জন্য অধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই গ্রিসের সমালোচনা করছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত একটি ভিডিওচিত্রও প্রকাশ করেছে। তারপরেও, অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে গ্রিস।

সূএ : জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com