গর্ভে যমজ সন্তান আছে কি না জানান দেবে ৬ লক্ষণ

গর্ভধারণ ও মা হওয়া একটি নারীর জীবনে সবচেয়ে সুখের অনুভূতির সৃষ্টি করে। যদিও গর্ভধারণের পরপরই নারীর শরীরে নানা বদল আসে। তখন শরীরে হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয়। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

 

যদিও বমি বা ক্লান্তি গর্ভকালীন সময়ের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। গর্ভে যমজ সন্তান আছে কি না, তা পাকাপাকিভাবে জানার একমাত্র উপায় হলো আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান।

তবে কিছু লক্ষণ দেখে অনেকেই আগাম টের পেতে পারেন, গর্ভে একাধিক ভ্রূণ আছে কি না। জেনে নিন তেমনই ৬ লক্ষণ-

 

গর্ভাবস্থায় বমি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। হরমোনের ক্ষরণের কারণে বমি ভাব বা বমির প্রবণতা শুরু হয়। গর্ভধারণের ৪ সপ্তাহ পর থেকেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। তবে গর্ভবস্থার ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এই সমস্যা যাদের থেকে যায়, তাদের গর্ভে একাধিক ভ্রূণ থাকতে পারে।

 

ক্লান্তি গর্ভাবস্থার অন্যতম লক্ষণ। অনেকেই প্রথম মাসে এই ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার রাতের টানা ঘুম হয় না। তাই শরীরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায় না।

যাদের এই ক্লান্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে কেউ খুব বেশি ক্লান্ত মানেই যে গর্ভে যমজ সন্তান আছে, তাও ঠিক নয়।

এইচসিজি বা হিউম্যান কোরিয়োনিক গোনাডোট্রোপিন নামের হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় গর্ভাবস্থায়। হোম প্রেগন্যান্সি কিটে এই হরমোন ধরা পড়ে প্রস্রাবে। তবে রক্তে কতটা এইচসিজি আছে, তা নির্ধারণ করতে পারে না এই পরীক্ষা।

রক্ত পরীক্ষা করালে অবশ্য তা বোঝা যায়। ২০১৮ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, যাদের গর্ভে যমজ সন্তান ছিল, তাদের রক্তে এইচসিজির পরিমাণও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি ছিল।

 

৮-১০ সপ্তাহের মাথায় সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনা যায়। রেগুলার চেকআপের সময় চিকিৎসকরা তা ধরতে পারেন। আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।

 

গর্ভধারণ করার ২০ সপ্তাহ পরই নারীর পেট বড় হতে শুরু করে। গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে ২০ সপ্তাহের আগেই পেট বড় হতে শুরু করে। তবে কার পেট ঠিক কোন সময়ে উঁচু হবে তা একেকজনের ক্ষেত্রে আলাদা হতেই পারে।

 

গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। প্রথম ১২ সপ্তাহ তেমন ওজন বাড়ে না, বেশি হলেও ২ কেজি বাড়তে পারে। তারপর থেকে ওজন অনেকটাই বাড়তে থাকে।

তবে একাধিক যমজ সন্তানের মায়ের দেওয়া তথ্যমতে, প্রথম ১২ সপ্তাহেই তাদের তুলনামূলকভাবে বেশি ওজন বেড়েছিল।  সূত্র: বেবি সেন্টার/হেলথলাইন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

» দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার মৃত্যু

» আজকের খেলা

» অধিকার আদায়ে শেরে বাংলার অবদান কখনোই ভুলবার নয়: ফখরুল

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ৩৯ জন গ্রেপ্তার

» সরবরাহ থাকলেও কমছে না সবজির দাম, অস্বস্তি মাছ-মাংসের বাজারে

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গর্ভে যমজ সন্তান আছে কি না জানান দেবে ৬ লক্ষণ

গর্ভধারণ ও মা হওয়া একটি নারীর জীবনে সবচেয়ে সুখের অনুভূতির সৃষ্টি করে। যদিও গর্ভধারণের পরপরই নারীর শরীরে নানা বদল আসে। তখন শরীরে হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয়। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

 

যদিও বমি বা ক্লান্তি গর্ভকালীন সময়ের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। গর্ভে যমজ সন্তান আছে কি না, তা পাকাপাকিভাবে জানার একমাত্র উপায় হলো আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান।

তবে কিছু লক্ষণ দেখে অনেকেই আগাম টের পেতে পারেন, গর্ভে একাধিক ভ্রূণ আছে কি না। জেনে নিন তেমনই ৬ লক্ষণ-

 

গর্ভাবস্থায় বমি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। হরমোনের ক্ষরণের কারণে বমি ভাব বা বমির প্রবণতা শুরু হয়। গর্ভধারণের ৪ সপ্তাহ পর থেকেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। তবে গর্ভবস্থার ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এই সমস্যা যাদের থেকে যায়, তাদের গর্ভে একাধিক ভ্রূণ থাকতে পারে।

 

ক্লান্তি গর্ভাবস্থার অন্যতম লক্ষণ। অনেকেই প্রথম মাসে এই ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার রাতের টানা ঘুম হয় না। তাই শরীরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায় না।

যাদের এই ক্লান্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে কেউ খুব বেশি ক্লান্ত মানেই যে গর্ভে যমজ সন্তান আছে, তাও ঠিক নয়।

এইচসিজি বা হিউম্যান কোরিয়োনিক গোনাডোট্রোপিন নামের হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় গর্ভাবস্থায়। হোম প্রেগন্যান্সি কিটে এই হরমোন ধরা পড়ে প্রস্রাবে। তবে রক্তে কতটা এইচসিজি আছে, তা নির্ধারণ করতে পারে না এই পরীক্ষা।

রক্ত পরীক্ষা করালে অবশ্য তা বোঝা যায়। ২০১৮ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, যাদের গর্ভে যমজ সন্তান ছিল, তাদের রক্তে এইচসিজির পরিমাণও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি ছিল।

 

৮-১০ সপ্তাহের মাথায় সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনা যায়। রেগুলার চেকআপের সময় চিকিৎসকরা তা ধরতে পারেন। আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।

 

গর্ভধারণ করার ২০ সপ্তাহ পরই নারীর পেট বড় হতে শুরু করে। গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে ২০ সপ্তাহের আগেই পেট বড় হতে শুরু করে। তবে কার পেট ঠিক কোন সময়ে উঁচু হবে তা একেকজনের ক্ষেত্রে আলাদা হতেই পারে।

 

গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। প্রথম ১২ সপ্তাহ তেমন ওজন বাড়ে না, বেশি হলেও ২ কেজি বাড়তে পারে। তারপর থেকে ওজন অনেকটাই বাড়তে থাকে।

তবে একাধিক যমজ সন্তানের মায়ের দেওয়া তথ্যমতে, প্রথম ১২ সপ্তাহেই তাদের তুলনামূলকভাবে বেশি ওজন বেড়েছিল।  সূত্র: বেবি সেন্টার/হেলথলাইন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com