গর্ভপাত শব্দটি বলতে পারবেন না ফেসবুক কর্মীরা

ফেসবুক অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটা শব্দ নিষিদ্ধ করে দিল। ফেসবুক কর্মীরা এখন থেকে গর্ভপাত শব্দটি আর বলতে পারবেন না। ফেসবুক কর্মচারীদের জন্যই রয়েছে বিশ্বব্যাপী একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কপ্লেস। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়ার্কপ্লেসে অ্যাবরশন বা গর্ভপাত শব্দটি ব্যবহার করলে ‘ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে’। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি আরও জানিয়েছে যে, এই ধরনের শব্দের ব্যবহারে একটা প্ল্যাটফর্মকে ‘প্রতিকূল কাজের পরিবেশ রয়েছে’ বলেও দেখা হতে পারে, যাতে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।

 

সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ-এর একটি রিপোর্টে জানা যায়, ফেসবুক মেটা তার কর্মীদের বলেছে যে ওয়ার্কপ্লেসে অ্যাবরশন বা গর্ভপাত শব্দটির ব্যবহার করা যাবে না। “গর্ভপাত নিয়ে মতামত বা বিতর্ক এসবের কিছুই ওয়ার্কপ্লেসে করতে পারবেন না ফেসবুক কর্মীরা। তা সে ঠিক হোক বা ভুল হোক। অ্যাবরশনের স্বত্ব হোক বা রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা মানবিক কোনও দৃষ্টিভঙ্গি – কোনও কিছু নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা করতে পারবেন না কর্মীরা।”

 

মেটার হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের ভায়েস প্রেসিডেন্ট জানেলি গেল একটি মিটিংয়ে ফেসবুক কর্মীদের বলেছেন, “এটি হল সবথেকে বিভাজনকারী টপিক। এই শব্দ নিয়ে কেউ আলোচনা করবেন না।” তবে মেটা বা ফেসবুকের এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন সংস্থার কর্মীরা। তাদের দাবি, এই নীতি সংস্থার অন্যান্য নীতির সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না যেমন ব্ল্যাক লিভস ম্যাটার, ইমিগ্রেশন এবং ট্রান্স রাইটস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা।

 

মেটার সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ বলছেন, গর্ভপাত হল আমাদের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ থেকে শেরিল লিখেছেন, “পৃথিবীর সমস্ত মহিলাদের, তা তারা যেখানেই থাকুন না কেন, কখন মা হবেন, আর কখন হবেন না, সেই বিষয়টা তাদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যেগুলি নারীর স্বাস্থ্য এবং সাম্যের জন্য খুবই জরুরি।”

 

গর্ভপাত শব্দটি আলোচনা করা নিয়ে মেটা-র কর্মীরা আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে জোরদার বিতর্কও শুরু হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে গর্ভপাতের জন্য মহিলাদেরই দায়ী করা হয়। কিন্তু জেনে রাখা ভালো, এর জন্য মহিলারা কোনওভাবেই দোষী নন। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের সমালোচনা না-করে, তাদের পাশে থাকুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গর্ভপাত শব্দটি বলতে পারবেন না ফেসবুক কর্মীরা

ফেসবুক অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটা শব্দ নিষিদ্ধ করে দিল। ফেসবুক কর্মীরা এখন থেকে গর্ভপাত শব্দটি আর বলতে পারবেন না। ফেসবুক কর্মচারীদের জন্যই রয়েছে বিশ্বব্যাপী একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কপ্লেস। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়ার্কপ্লেসে অ্যাবরশন বা গর্ভপাত শব্দটি ব্যবহার করলে ‘ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে’। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি আরও জানিয়েছে যে, এই ধরনের শব্দের ব্যবহারে একটা প্ল্যাটফর্মকে ‘প্রতিকূল কাজের পরিবেশ রয়েছে’ বলেও দেখা হতে পারে, যাতে ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।

 

সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ-এর একটি রিপোর্টে জানা যায়, ফেসবুক মেটা তার কর্মীদের বলেছে যে ওয়ার্কপ্লেসে অ্যাবরশন বা গর্ভপাত শব্দটির ব্যবহার করা যাবে না। “গর্ভপাত নিয়ে মতামত বা বিতর্ক এসবের কিছুই ওয়ার্কপ্লেসে করতে পারবেন না ফেসবুক কর্মীরা। তা সে ঠিক হোক বা ভুল হোক। অ্যাবরশনের স্বত্ব হোক বা রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা মানবিক কোনও দৃষ্টিভঙ্গি – কোনও কিছু নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা করতে পারবেন না কর্মীরা।”

 

মেটার হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের ভায়েস প্রেসিডেন্ট জানেলি গেল একটি মিটিংয়ে ফেসবুক কর্মীদের বলেছেন, “এটি হল সবথেকে বিভাজনকারী টপিক। এই শব্দ নিয়ে কেউ আলোচনা করবেন না।” তবে মেটা বা ফেসবুকের এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন সংস্থার কর্মীরা। তাদের দাবি, এই নীতি সংস্থার অন্যান্য নীতির সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না যেমন ব্ল্যাক লিভস ম্যাটার, ইমিগ্রেশন এবং ট্রান্স রাইটস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা।

 

মেটার সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ বলছেন, গর্ভপাত হল আমাদের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ থেকে শেরিল লিখেছেন, “পৃথিবীর সমস্ত মহিলাদের, তা তারা যেখানেই থাকুন না কেন, কখন মা হবেন, আর কখন হবেন না, সেই বিষয়টা তাদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যেগুলি নারীর স্বাস্থ্য এবং সাম্যের জন্য খুবই জরুরি।”

 

গর্ভপাত শব্দটি আলোচনা করা নিয়ে মেটা-র কর্মীরা আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে জোরদার বিতর্কও শুরু হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে গর্ভপাতের জন্য মহিলাদেরই দায়ী করা হয়। কিন্তু জেনে রাখা ভালো, এর জন্য মহিলারা কোনওভাবেই দোষী নন। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদের সমালোচনা না-করে, তাদের পাশে থাকুন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com