ছবি সংগৃহীত
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরম থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ঠান্ডা পানীয় কিংবা আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। তবে মনে রাখবেন, এই ঠান্ডা খাবার কিন্তু শরীরের একাধিক ক্ষতি করে দিতে পারে। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা সকলকে কথায় কথায় আইসক্রিম খেতে বারণ করেন।
পুষ্টি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের মতে, গরমের দিনে নিয়মিত আইসক্রিম খাওয়া কোনওমতেই উচিত নয়। এই ভুলটা করলে আদতে একাধিক রোগে ভোগার আশঙ্কা থাকে।
দাঁতের বাজবে বারোটা
আইসক্রিমে থাকা চিনি বা মিষ্টির দানা দাঁতের ফাঁকে ঢুকে যেতে পারে। তারপর এইসব মিষ্টি উপাদানের সাহায্য নিয়ে ক্রমাগত নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে একাধিক ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়া। আর দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে জীবাণুর সংখ্যা বাড়লে যে আখেরে ক্যাবিটিসের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই দাঁতের খেয়াল রাখতে চাইলে আজ থেকেই আইসক্রিম খাওয়ার লোভ সামলে নিন।
বারবার ভাঙবে ঘুম
আমাদের অতি প্রিয় আইসক্রিমে ফাইবার অংশ প্রায় নেই বললেই চলে। বরং এই ধরনের খাবারে রয়েছে স্যাচুরেটেড ভাণ্ডার। আর স্লিপ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে লো ফাইবার-হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। উল্টো বারবার ঘুম ভেঙে যায়। তাই রাতেরবেলায় শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে ভুলেও আইসক্রিম খাবেন না।
বাড়বে ওজন
ওজন বেশি থাকলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেশার থেকে শুরু করে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়ে বৈকি! তাই যেন তেন প্রকারে ওজন কমাতে হবে। তবে আপনি যদি রোজ রোজ আইসক্রিম খান, তাহলে কিন্তু একবারেই ওজন কমবে না। কারণ এই ঠান্ডা খাবারে রয়েছে ফ্যাট এবং ক্যালোরির ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান মেদের বহর বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই ঝটপট ওজন কমাতে চাইলে গরমের দিনেও রোজ রোজ আইসক্রিম খেয়ে রসনাতৃপ্তি করা চলবে না।
বিপদের অপর নাম ফ্যাটি লিভার
আইসক্রিম মানেই ক্রিমের ভাণ্ডার। এমনকী এতে প্রচুর পরিমাণে চিনিও মেশানো থাকে। আর এই দুই উপাদান কিন্তু লিভারের বারোটা বাজানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকী এই দুই উপাদানের কারসাজিতে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে বৈকি! তাই এই জটিল অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলে আজ থেকেই আইসক্রিমের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান।
পিছু নেবে পেটের সমস্যা
আইসক্রিম একটি দুগ্ধজাত খাবার। তাই এতে উপস্থিত ল্যাকটোজ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। আর সেই সুবাদে তারা গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়ারিয়ার ফাঁদে পড়ে বেজায় কষ্ট পান। তাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা ভুলেও আইসক্রিম খাবেন না।