খালেদা জিয়া ছিলেন মূর্খ প্রধানমন্ত্রী: নানক

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রস্তুতির সময় থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নানা মন্তব্য করেছেন। এসব মন্তব্যের কারণে বেগম জিয়াকে ‘মূর্খ্য প্রধানমন্ত্রী’ আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

 

আজ দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে আয়োজিত আদাবর থানার ৩০ ও ১০০নং ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

 

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ যখন শুরু হলো, তখন ম্যাডাম খালেদা বললেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করলেও, ওর (খালেদা জিয়া) ভাষায়, হাসিনা এই পদ্মা সেতু করে যেতে পারবে না। যুবদলের মিটিংয়ে বললেন, পদ্মা সেতু! এটা তো জোড়াতালি দিয়ে করছেন। সাবধান! কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না।

 

নানক বলেন, ‘একটি মূর্খ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিল দেশ। এমন মূর্খ একটি প্রধানমন্ত্রী যে জানে না, এটা দা-ও না, খোন্তাও না, কুড়ালও না। এই ব্রিজ করতে হলে পর্যায়ক্রমে পার্ট বাই পার্ট করতে হয়। এই মূর্খ তাও জানে না। এই মূর্খের অধীনে যে দেশ ছিল, সে দেশ মুখ থুবড়ে পড়েছিল।

 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘সেই দেশ, সেই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার হাতে যখন বাংলাদেশের দায়িত্ব দিলেন, তখন সেই দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনি কন ওনারা পদ্মা সেতু নিয়া ব্যস্ত। পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়া ব্যস্ত। ওনারা বন্যাপীড়িত মানুষের খোঁজ-খবর রাখেন না। মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনারা কথা বলেন, কাজ করেন না। আমরা কাজ করি, কথা বেশি বলি না। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি।

 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কারফিউর গণতন্ত্র দিয়ে হ্যাঁ, না ভোট করেছিল। ওরা বলে গণতন্ত্রের কথা। ওরা কত বড় নির্লজ্জ৷’ সরকারপ্রধান সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন জানিয়ে সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জে একটি অকাল বন্যা হয়েছে। ভয়াবহ বন্যা। সেই ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা রাত ঘুমাননি। রাতের বেলায় নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডকে ওই পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে। মানুষকে উদ্ধার করেছে। আওয়ামী, যুবলীগসহ সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাও মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াও।

 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম।

 

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আজিজুল হক রানা (টিম লিডার)।

 

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীম।

 

এছাড়া অন্যদের মধ্যে ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, আদাবর থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সূএ:ঢাকা মেল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

খালেদা জিয়া ছিলেন মূর্খ প্রধানমন্ত্রী: নানক

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রস্তুতির সময় থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নানা মন্তব্য করেছেন। এসব মন্তব্যের কারণে বেগম জিয়াকে ‘মূর্খ্য প্রধানমন্ত্রী’ আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

 

আজ দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে আয়োজিত আদাবর থানার ৩০ ও ১০০নং ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

 

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ যখন শুরু হলো, তখন ম্যাডাম খালেদা বললেন, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করলেও, ওর (খালেদা জিয়া) ভাষায়, হাসিনা এই পদ্মা সেতু করে যেতে পারবে না। যুবদলের মিটিংয়ে বললেন, পদ্মা সেতু! এটা তো জোড়াতালি দিয়ে করছেন। সাবধান! কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না।

 

নানক বলেন, ‘একটি মূর্খ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিল দেশ। এমন মূর্খ একটি প্রধানমন্ত্রী যে জানে না, এটা দা-ও না, খোন্তাও না, কুড়ালও না। এই ব্রিজ করতে হলে পর্যায়ক্রমে পার্ট বাই পার্ট করতে হয়। এই মূর্খ তাও জানে না। এই মূর্খের অধীনে যে দেশ ছিল, সে দেশ মুখ থুবড়ে পড়েছিল।

 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘সেই দেশ, সেই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার হাতে যখন বাংলাদেশের দায়িত্ব দিলেন, তখন সেই দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনি কন ওনারা পদ্মা সেতু নিয়া ব্যস্ত। পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়া ব্যস্ত। ওনারা বন্যাপীড়িত মানুষের খোঁজ-খবর রাখেন না। মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনারা কথা বলেন, কাজ করেন না। আমরা কাজ করি, কথা বেশি বলি না। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি।

 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কারফিউর গণতন্ত্র দিয়ে হ্যাঁ, না ভোট করেছিল। ওরা বলে গণতন্ত্রের কথা। ওরা কত বড় নির্লজ্জ৷’ সরকারপ্রধান সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন জানিয়ে সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জে একটি অকাল বন্যা হয়েছে। ভয়াবহ বন্যা। সেই ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা রাত ঘুমাননি। রাতের বেলায় নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডকে ওই পানিতে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে। মানুষকে উদ্ধার করেছে। আওয়ামী, যুবলীগসহ সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাও মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াও।

 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম।

 

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আজিজুল হক রানা (টিম লিডার)।

 

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীম।

 

এছাড়া অন্যদের মধ্যে ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, আদাবর থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সূএ:ঢাকা মেল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com