খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতিতে ‘আগুন’ সয়াবিন তেল-ডিমে

বছরের শুরু থেকেই নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। এতে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে মূল্যস্ফীতির হার। বিশেষ করে সয়াবিন তেল ও ডিমের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

 

গত জানুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। এর মানে বিবিএস জরিপে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য গতকাল বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করেছে।

 

বিবিএস জরিপে দেখা গেছে, মূলত সয়াবিন তেল ও ডিম খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে এক লিটার তেল কিনতে ভোক্তার খরচ হয়েছে গড়ে ১৬০ টাকা ১০ পয়সা, গত জানুয়ারি মাসে যা ছিল ১৫৬ টাকা ২৫ পয়সা। ফলে এক লিটার সয়াবিন তেলের জন্য ভোক্তা ডিসেম্বরে প্রায় ৪ টাকা বাড়তি খরচ করেছে।

 

ডিসেম্বরে এক হালি ফার্মের ডিম কিনতে খরচ হয়েছে ৩৮ টাকা, গত মাসে যা ছিল ৩৬ টাকা। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে খরচ ছিল ৫৭৭ টাকা, গত মাসে যা ছিল ৫৭২ টাকা।

 

মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনায় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, চাল, আটা-ময়দা, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, সবজিসহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দামই বেড়েছে।

খাদ্য বহির্ভূত খাতে গত বছরের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগের জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

 

বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূত ও খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্রসাধনসামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।

 

শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ, অথচ একই সময়ে শহরে এ হার মাত্র ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূতসহ সব খাতেই শহরের চেয়ে গ্রামে নিত্যপণ্যে আগুন ধরেছে। জানুয়ারিতে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে; এই মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ডিসেম্বরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মাঠ থেকে ডাটা এনে সঠিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি প্রকাশ করে বিবিএস। এটা নিয়ে কারোর প্রশ্ন থাকার কথা না। কেউ যদি জানতে চায় তবে উত্তর দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ডাটা আমাদের হাতে আছে। সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ধারাবাহিকতায় বিবিএস মূল্যস্ফীতির রিপোর্ট দিয়েছে। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির লালবাগ উপশাখা উদ্বোধন

» পাঁচবিবিতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

» বৃষ্টি কামনায় বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ আদায়

» মেটার স্মার্ট সানগ্লাসে দিয়ে করা যাবে ভিডিও কল

» গরমে ট্রাফিক পুলিশ কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে?

» জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকে কেন খেলবেন না, জানালেন সাকিব

» পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের চালক নিহত

» বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংর্ঘষে ইজিবাইক চালক নিহত,আহত ৩

» বিএনপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের

» শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে আ.লীগের কর্মসূচি

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতিতে ‘আগুন’ সয়াবিন তেল-ডিমে

বছরের শুরু থেকেই নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। এতে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে মূল্যস্ফীতির হার। বিশেষ করে সয়াবিন তেল ও ডিমের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

 

গত জানুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। এর মানে বিবিএস জরিপে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য গতকাল বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করেছে।

 

বিবিএস জরিপে দেখা গেছে, মূলত সয়াবিন তেল ও ডিম খাদ্য খাতের মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে এক লিটার তেল কিনতে ভোক্তার খরচ হয়েছে গড়ে ১৬০ টাকা ১০ পয়সা, গত জানুয়ারি মাসে যা ছিল ১৫৬ টাকা ২৫ পয়সা। ফলে এক লিটার সয়াবিন তেলের জন্য ভোক্তা ডিসেম্বরে প্রায় ৪ টাকা বাড়তি খরচ করেছে।

 

ডিসেম্বরে এক হালি ফার্মের ডিম কিনতে খরচ হয়েছে ৩৮ টাকা, গত মাসে যা ছিল ৩৬ টাকা। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে খরচ ছিল ৫৭৭ টাকা, গত মাসে যা ছিল ৫৭২ টাকা।

 

মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনায় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছে, চাল, আটা-ময়দা, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, সবজিসহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দামই বেড়েছে।

খাদ্য বহির্ভূত খাতে গত বছরের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা আগের জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

 

বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূত ও খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ শতাংশ। প্রসাধনসামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।

 

শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ, অথচ একই সময়ে শহরে এ হার মাত্র ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূতসহ সব খাতেই শহরের চেয়ে গ্রামে নিত্যপণ্যে আগুন ধরেছে। জানুয়ারিতে শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে; এই মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ। ডিসেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ডিসেম্বরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মাঠ থেকে ডাটা এনে সঠিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি প্রকাশ করে বিবিএস। এটা নিয়ে কারোর প্রশ্ন থাকার কথা না। কেউ যদি জানতে চায় তবে উত্তর দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ডাটা আমাদের হাতে আছে। সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ধারাবাহিকতায় বিবিএস মূল্যস্ফীতির রিপোর্ট দিয়েছে। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com