রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক দ্বিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে এ বাহিনীর যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার কোস্ট গার্ডের আধুনিকায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের জলসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশে কোস্ট গার্ড এর সদস্যরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করে যাবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।
সোমবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সমুদ্রচারী ও উপকূলীয় জনগণের কাছে একটি অতি পরিচিত ও বিশ্বস্ত নাম। দেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথ উপকূলীয় অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধ, মাদকের বিস্তার রোধসহ সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় এ বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরে কোস্ট গার্ডের ক্রমাগত তৎপরতার ফলে বিগত বছরে চুরির ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর একটি নিরাপদ বাণিজ্যিক স্থান হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি লাভ করেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বেগবান হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকপাচার প্রতিরোধ ও দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ সংরক্ষণেও কোস্ট গার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একটি বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো ক্রমাগত প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে অর্পিত দায়িত্বপালন। আশা করি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্বপালন করে কোস্ট গার্ডের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে সদা তৎপর থাকবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবস ২০২২’ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।