কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এসব খাবার খেলে

ছবি সংগৃহীত

 

শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। একটি ভালো কোলেস্টেরল। অন্যটি মন্দ কোলেস্টেরল। রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়লে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। এমন পরিস্থিতি কিছু খাবার এই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

 

​কোন খাবারে কমবে কোলেস্টেরল?​

আজকাল অনেকেই উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় জর্জরিত। এইচডিএল বা হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনকে ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়। কিন্তু এলডিএল বা লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগ-সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এলডিএল-কে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়ে থাকে। বেশ কিছু খাবারের মাধ্যমে এই এলডিএল-এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোন কোন খাবার এলডিএল নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে, তা জেনে নিন।

food_inner

আপেল​

এই ফলে পেক্টিন নামক এক দ্রবণীয় ফাইবার উপস্থিত, যা কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। আপেল পেটের জন্য উপকারী, এর ফলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে।

​বেরি​

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরিতে উপস্থিত উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার কোলেস্টেরল কম করে ও হৃদযন্ত্রকে মজবুত রাখে। এ ছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

 

অন্ন​

ব্রাউন রাইস, কিনোয়া, গমের মতো অন্নে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত। এগুলি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।

food

ডার্ক চকলেট​

বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে ডার্ক চকলেট ও কোকো কোলেস্টেরল কম করতে উপযোগী। তবে চকলেটে উপস্থিত চিনি মধুমেহর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি কোকো রয়েছে এমন চকোলেট খাওয়া উচিত।

 

​ড্রাই ফ্রুট​

আখরোট, কাঠবাদাম, কাজু, চিনাবাদাম, পেস্তা হৃদরোগের সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। আখরোটে উপস্থিত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও কাঠবাদামে উপস্থিত ফাইটোস্টেরল হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহয্য করে।

​বিনস​

বিনসে উচ্চ ফাইবার থাকে। রাজমা, ছোলা, মুগ-সহ অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের বিনস নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে পারেন। বিনস খেলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ওটস​

ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার বিশেষত বিটা-গ্লুকন বর্তমান। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ওটস খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে।সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জামায়াত আমিরের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» নতুন সরকারের মন্ত্রীদের জন্য কোনো গাড়ি কেনা হচ্ছে না: অর্থ উপদেষ্টা

» বাড়ল স্বর্ণের দাম

» মন্ত্রীদের জন্য ৬০টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল

» বিদ্যুৎকেন্দ্রে যান্ত্রিক গোলযোগ, দেশব্যাপী লোডশেডিং

» বুধবার ঢাবির সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ

» আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, আদালতে ঐশ্বরিয়া

» ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

» মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল প্যানেল

» কর্মীদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ানের সাথে ব্যাংক এশিয়ার পার্টনারশিপ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এসব খাবার খেলে

ছবি সংগৃহীত

 

শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। একটি ভালো কোলেস্টেরল। অন্যটি মন্দ কোলেস্টেরল। রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়লে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। এমন পরিস্থিতি কিছু খাবার এই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

 

​কোন খাবারে কমবে কোলেস্টেরল?​

আজকাল অনেকেই উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় জর্জরিত। এইচডিএল বা হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনকে ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়। কিন্তু এলডিএল বা লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে হৃদরোগ-সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এলডিএল-কে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়ে থাকে। বেশ কিছু খাবারের মাধ্যমে এই এলডিএল-এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোন কোন খাবার এলডিএল নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে, তা জেনে নিন।

food_inner

আপেল​

এই ফলে পেক্টিন নামক এক দ্রবণীয় ফাইবার উপস্থিত, যা কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। আপেল পেটের জন্য উপকারী, এর ফলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে।

​বেরি​

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরিতে উপস্থিত উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার কোলেস্টেরল কম করে ও হৃদযন্ত্রকে মজবুত রাখে। এ ছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

 

অন্ন​

ব্রাউন রাইস, কিনোয়া, গমের মতো অন্নে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত। এগুলি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।

food

ডার্ক চকলেট​

বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে ডার্ক চকলেট ও কোকো কোলেস্টেরল কম করতে উপযোগী। তবে চকলেটে উপস্থিত চিনি মধুমেহর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি কোকো রয়েছে এমন চকোলেট খাওয়া উচিত।

 

​ড্রাই ফ্রুট​

আখরোট, কাঠবাদাম, কাজু, চিনাবাদাম, পেস্তা হৃদরোগের সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। আখরোটে উপস্থিত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও কাঠবাদামে উপস্থিত ফাইটোস্টেরল হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহয্য করে।

​বিনস​

বিনসে উচ্চ ফাইবার থাকে। রাজমা, ছোলা, মুগ-সহ অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের বিনস নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে পারেন। বিনস খেলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ওটস​

ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার বিশেষত বিটা-গ্লুকন বর্তমান। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ওটস খেলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে।সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com