সংগৃহীত ছবি
কোলেস্টেরলের রোগী এখন ঘরে ঘরে। একবার এ রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই খাওয়া-দাওয়ায় এসে যায় হাজার রকমের বিধি-নিষেধ। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে স্নেহ পদার্থযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো, তা না হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিদিনের রান্না থেকে চিজ, মাখন, ঘি বাদ দিলেও রান্না থেকে তেল একেবারেই বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। রইল এমন কিছু তেলের সন্ধান, যা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা মানুষদের রসনাতৃপ্তিতে আসতে পারে কাজে।
সয়াবিন তেল : চিকিৎসকদের মতে, যাদের কোলেস্টেরল বেশি, তারা সয়াবিন তেলেও রান্না করতে পারেন। মাছ ছাড়া সয়াবিন তেল কিন্তু ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন দেড় চামচ সয়াবিন তেল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না, বরং তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া সয়াবিন তেলে থাকা ফাইটোস্টেরল এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
তিসির তেল : গ্রামবাংলায় খুবই প্রচলিত এ তেল। কিন্তু শহুরে বাড়ির রান্নায় এ তেল ব্যবহার করার খুব বেশি চল নেই। অথচ খাদ্যগুণের দিক থেকে কিন্তু কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য এ তেল ভালো বিকল্প হতে পারে। এ তেলে ভালো মাত্রায় আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিডের থাকে। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে ও আর্থরাইটিসের উপসর্গ কমাতেও এটি অত্যন্ত উপযোগী। তবে এ তেল উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করলে নষ্ট হয়ে যায় এর খাদ্যগুণ। তাই কবাবজাতীয় খাবার বানানোর সময় এ তেল ব্যবহার না করাই শ্রেয়। সালাদ খেতে যারা ভালবাসেন, তাঁদের জন্য খুব ভালো একটি বিকল্প হতে পারে এ তেল।
অলিভ অয়েল : জলপাইয়ের তেল, বিশেষত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। ভার্জিন অলিভ অয়েল নিষ্কাশনের সময় কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এতে প্রায় ৩০ প্রকার ফেনল জাতীয় যৌগ থাকে। এ উপাদানটি একই সঙ্গে প্রদাহনাশক এবং সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বেশ উপকারী। চিকিৎসকদের মতে, অন্যান্য তেলের তুলনায় এ তেলে মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম