কুয়েতে বাংলাদেশিদের জন্য বড় বাধা ভিসা প্রক্রিয়া

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। দেশটিতে প্রবাসী শ্রমিকের চাহিদা ব্যাপক। কুয়েতের শ্রমবাজারে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশসহ আফ্রিকার অনেক দেশ। তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

 

সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি ধরতে বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ভিসা প্রক্রিয়া। শুধুমাত্র বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে বিশেষ ‘লামানা’ (অনুমোদন) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। যে কারণে বাংলাদেশ হারাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যর একটি বড় শ্রমবাজার।

করোনাসহ বিভিন্ন কারণে ৪ লাখেরও বেশি শ্রমিককে কুয়েত ছেড়ে যেতে হয়েছে। বর্তমানে কুয়েতের শ্রম বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী নিয়োগ চলমান রয়েছে। কিন্তু প্রায় দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যিক, ফ্যামিলি, ভিজিট ভিসাসহ সব ধরনের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।

 

করোনার আগে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কুয়েতে প্রবেশ করলেও সেটি ছিল নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ বিশেষ অনুমোদন ‘লামানা’ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভিসা পেতে হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে। আর ‘লামানা’ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কুয়েতের কোম্পানিগুলোকে অনেক শর্তপূরণ করতে হয়। প্রাইভেট সেক্টরগুলো এ বিশেষ প্রক্রিয়াকে অনেকটা বিড়ম্বনা মনে করে।

 

পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে যেখানে একদিনেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভিসা পাওয়া যায়, সেখানে বাংলাদেশিদের বেলায় ভিসার ‘লামানা (অনুমোদন) পেতে এক থেকে দেড় মাস বা কখনো বেশি সময় পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়। আবার অনেক দরখাস্ত অনুমোদন পায় না বরং ফেরত আসে।

 

ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে তারা খুব সহজেই শ্রমিক নিয়োগ করতে পারছে। ফলে কুয়েতে সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি ভারতের হাতে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাধারণ শ্রমিকরা হারাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যর একটি বড় শ্রমবাজার, আর দেশ হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা মনে করছেন, দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি কুয়েত সফরে না আসার ফলে অথবা কুয়েত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ না করার ফলে এ সমস্যাটি দীর্ঘদিন সমাধান হচ্ছে না।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির লালবাগ উপশাখা উদ্বোধন

» পাঁচবিবিতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

» বৃষ্টি কামনায় বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ আদায়

» মেটার স্মার্ট সানগ্লাসে দিয়ে করা যাবে ভিডিও কল

» গরমে ট্রাফিক পুলিশ কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে?

» জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকে কেন খেলবেন না, জানালেন সাকিব

» পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের চালক নিহত

» বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংর্ঘষে ইজিবাইক চালক নিহত,আহত ৩

» বিএনপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের

» শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে আ.লীগের কর্মসূচি

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কুয়েতে বাংলাদেশিদের জন্য বড় বাধা ভিসা প্রক্রিয়া

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। দেশটিতে প্রবাসী শ্রমিকের চাহিদা ব্যাপক। কুয়েতের শ্রমবাজারে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশসহ আফ্রিকার অনেক দেশ। তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

 

সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি ধরতে বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ভিসা প্রক্রিয়া। শুধুমাত্র বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে বিশেষ ‘লামানা’ (অনুমোদন) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। যে কারণে বাংলাদেশ হারাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যর একটি বড় শ্রমবাজার।

করোনাসহ বিভিন্ন কারণে ৪ লাখেরও বেশি শ্রমিককে কুয়েত ছেড়ে যেতে হয়েছে। বর্তমানে কুয়েতের শ্রম বাজারের চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী নিয়োগ চলমান রয়েছে। কিন্তু প্রায় দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যিক, ফ্যামিলি, ভিজিট ভিসাসহ সব ধরনের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।

 

করোনার আগে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কুয়েতে প্রবেশ করলেও সেটি ছিল নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ বিশেষ অনুমোদন ‘লামানা’ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভিসা পেতে হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে। আর ‘লামানা’ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কুয়েতের কোম্পানিগুলোকে অনেক শর্তপূরণ করতে হয়। প্রাইভেট সেক্টরগুলো এ বিশেষ প্রক্রিয়াকে অনেকটা বিড়ম্বনা মনে করে।

 

পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে যেখানে একদিনেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভিসা পাওয়া যায়, সেখানে বাংলাদেশিদের বেলায় ভিসার ‘লামানা (অনুমোদন) পেতে এক থেকে দেড় মাস বা কখনো বেশি সময় পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়। আবার অনেক দরখাস্ত অনুমোদন পায় না বরং ফেরত আসে।

 

ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে তারা খুব সহজেই শ্রমিক নিয়োগ করতে পারছে। ফলে কুয়েতে সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি ভারতের হাতে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাধারণ শ্রমিকরা হারাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যর একটি বড় শ্রমবাজার, আর দেশ হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা মনে করছেন, দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি কুয়েত সফরে না আসার ফলে অথবা কুয়েত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ না করার ফলে এ সমস্যাটি দীর্ঘদিন সমাধান হচ্ছে না।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com