বর্তমানের যান্ত্রিক জীবনে নিজেদের জন্য সামান্য কিছু সময় বের করতেও হিমশিম খেতে হয়। এতে কিছুটা স্বস্তিময় বিরতি নিয়ে আসে পবিত্র রমজান মাস, যখন বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠী একত্র হয়ে আধ্যাত্মিকতা ও আত্মিক উন্নতির দিকে মনোযোগ দেয়ার সুযোগ পান। তাই, এ সময় কাপড় ধোয়ার মতো ঘরের যাবতীয় দৈনন্দিন কাজগুলোকে বোঝা মনে হতে পারে।
শুধু তাই নয়; সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়। এতে করে কখনও শেষ না হওয়া এই ঘরের কাজগুলো প্রচণ্ড বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। কিন্তু সেগুলো এড়িয়ে চলা কি আদৌ সম্ভব? ফলে, এই পবিত্র সময়টাকে আরেকটু সহজ করে তোলার চেষ্টায় থাকি আমরা প্রতিনিয়তই। ওয়াশিং মেশিন, এক্ষেত্রে, হতে পারে কার্যকরী এক হোম অপ্ল্যায়েন্স। কাপড় ধোয়ার মত সময়সাপেক্ষ ও পরিশ্রমের কাজকে নিমিষেই কয়েক গুন সহজ করে তোলে এ হোম অ্যাপ্লায়েন্সটি। মেশিনের সামনে থাকা একটি বড় ক্লিয়ার ডায়ালের মাধ্যমে এর ওয়াশ টাইপ নির্ধারণ করা হয় এবং সাথে থাকা এলসিডি স্ক্রিনে কাস্টমাইজেশনের আরও বিকল্প দেখা যায়। পানির তাপমাত্রা ও স্পিন স্পিড খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এতে।
আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলোতে যোগ করা হচ্ছে নানান ধরনের উদ্ভাবনী ও পরিবেশ-বান্ধব বৈশিষ্ট্য, যার অন্যতম উদাহরণ হল ‘ইকোবাবল।’ পানি ও বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে এনে কাপড় ধোয়ার প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করে এই প্রযুক্তি। মেশিনে থাকা বাবল অপশনটি বাতাস, পানি ও ডিটারজেন্টের মিশ্রণে কাপড় ভিজিয়ে রাখে, যা ফ্যব্রিকের ভেতরে প্রবেশ করে সবচেয়ে কঠিন দাগগুলিও সরিয়ে ফেলে একদম অনায়াসে।
তাপমাত্রা বাড়ানোর সময়ও এই পরিবেশ-বান্ধব ওয়াশিং মেশিনগুলো খুব অল্প শক্তি খরচ করে। সাধারণত, একই কাজের জন্য অন্যান্য মেশিনগুলো অনেক বেশি শক্তি খরচ করলেও পরিবেশ-বান্ধব মেশিনগুলিতে এমনটি নয়। ফলে, পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি, ইকো-ফ্রেন্ডলি ফিচারটি আমাদেরকে এই পবিত্র মাসে অপব্যবহার ও অপচয় থেকে বিরত থাকতেও সহায়তা করে। এছাড়াও, বিদ্যুৎ খরচ কমে আসায় কিছুটা অর্থ সাশ্রয়ও সম্ভব, যা আমরা পরবর্তিতে অভাবগ্রস্ত মানুষদের সহায়তায় কাজে লাগাতে পারব।
ওয়াশিং মেশিনের এমন সব যুগান্তকারী ফিচারের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসে কাপড় ধোয়ার দৈনন্দিন ঝক্কি থেকে কিছুটা প্রশান্তি পাওয়া সম্ভব। এতে করে নিজের বিশ্রাম ও যত্নের জন্য কিছুটা সময় আমরা বের করে নিতেই পারি। এমন সব ফিচার সমৃদ্ধ ওয়াশিং মেশিনগুলোর অন্যতম উদাহরণ হল স্যামসাং ইকোবাবল, যা বিভিন্ন রেঞ্জে পাওয়া যাচ্ছে। কিচেন কাউন্টারের নিচে অনায়াসেই বসানো যাবে এমন সাইজ ও রয়েছে তাদের। ইফতার ও সেহরির মাঝের সময়টির শান্তি অব্যাহত রাখতে এই মেশিন খুব স্বল্প আওয়াজে কাজ সেরে ফেলে – তাই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না কখনই।
তাই, এসব দৈনন্দিন ঝক্কির চিন্তা এখনই শেষ! পবিত্র এই আত্মশুদ্ধির মাসে প্রয়োজনীয় কাজগুলোকে প্রাধান্য দিতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি-সম্পন্ন আধুনিক ওয়াশিং মেশিন কিনে নিন এবং সারা মাসের কাপড় ধোয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখুন নিজেকে।