কমেছে মুরগির দাম, অন্যান্য পণ্য অপরিবর্তিত

বাজারে সবজি, পেঁয়াজ, আদা, আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে মুরগির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

 

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাওরানবাজার, মিরপুরের ১১, ১৩ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার, কচুক্ষেত বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, করলা ৮০ থেকে ৬০ টাকায়, চাল কুমড়ার পিস ৫০ টাকায়, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায়, পটল ৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৮০ টাকায়, পেঁপের কেজি ৫০ টাকায়, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকায়, ধুন্দুলের কেজি ৬০ টাকায়।

 

বাজারে ২০ টাকা দাম বেড়ে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।

 

আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার দাম বেড়েছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

 

১১ নম্বর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

 

পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী মো. কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষে পেঁয়াজ-রসুনের দাম বেড়েছে।  কোরবানির ঈদে আলু, পেঁয়াজ ও আদার দাম বেড়ে যায়।

 

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

 

প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকার।

 

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।

 

ডিম ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, লাল ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি। তবে হাঁসের ডিমের শতে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বন্যার কারণে হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে।

 

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। মুরগির দাম কমে কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়।

 

কচুক্ষেত বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রুম্মান আহমেদ বলেন, মুরগির দাম কমেছে। ঈদ উপলক্ষে আগামী সপ্তাহে বাজারে মুরগির দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আজকের খেলা

» অধিকার আদায়ে শেরে বাংলার অবদান কখনোই ভুলবার নয়: ফখরুল

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ৩৯ জন গ্রেপ্তার

» সরবরাহ থাকলেও কমছে না সবজির দাম, অস্বস্তি মাছ-মাংসের বাজারে

» ভারী বৃষ্টিপাতের পর তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

» ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

» সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

» নদীতে ৪ নৌ চাঁদাবাজ আটক

» থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

» আজ শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কমেছে মুরগির দাম, অন্যান্য পণ্য অপরিবর্তিত

বাজারে সবজি, পেঁয়াজ, আদা, আলু ও ডিমের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে মুরগির দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

 

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাওরানবাজার, মিরপুরের ১১, ১৩ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার, কচুক্ষেত বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, করলা ৮০ থেকে ৬০ টাকায়, চাল কুমড়ার পিস ৫০ টাকায়, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায়, পটল ৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৮০ টাকায়, পেঁপের কেজি ৫০ টাকায়, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকায়, ধুন্দুলের কেজি ৬০ টাকায়।

 

বাজারে ২০ টাকা দাম বেড়ে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।

 

আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার দাম বেড়েছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

 

১১ নম্বর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

 

পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী মো. কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষে পেঁয়াজ-রসুনের দাম বেড়েছে।  কোরবানির ঈদে আলু, পেঁয়াজ ও আদার দাম বেড়ে যায়।

 

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

 

প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকার।

 

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।

 

ডিম ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, লাল ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি। তবে হাঁসের ডিমের শতে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বন্যার কারণে হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে।

 

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। মুরগির দাম কমে কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়।

 

কচুক্ষেত বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রুম্মান আহমেদ বলেন, মুরগির দাম কমেছে। ঈদ উপলক্ষে আগামী সপ্তাহে বাজারে মুরগির দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com