সারা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এর পর হানা দিতে পারে নিওকোভ। এটি ওমিক্রনের চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, নিওকোভে আক্রান্ত প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হতে পারে।
চীনের উহানে এক গবেষণায় নতুন ধরনের এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। উহানের একটি ওয়েবসাইটে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
চীনের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, নিওকোভ ওমিক্রন অনেক থেকে বেশি শক্তিশালী। এটি শ্বাসযন্ত্রকে খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারে। এমনকি এতে সংক্রমিত প্রতি তিনজনে একজনের মৃত্যুও হতে পারে। এছাড়া বাজারে প্রচলিত কোনো করোনার টিকাই নিওকোভের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে না।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এ ভাইরাস মানুষের জন্য ঠিক কতটা হুমকি, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ভাইরাস নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানব শরীর এ ধরনটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে নিওকোভ ভাইরাসটি পাওয়া গেছে, মানুষের জন্য এটি কতটা ক্ষতিকর তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাসকে স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেছেন, উহানের বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে তারা সচেতন। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইতোমধ্যে বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানায়, মানুষের সংক্রামক রোগের ৭৫ ভাগই ছড়ায় বিশেষ করে বন্য প্রাণী থেকে। এর বেশিরভাগই নতুন ভাইরাস থেকে সৃষ্ট।
করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান রাখা বৈশ্বিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার) বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ১২৫ জন। এরমধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে ১৭ লাখ ২১ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমেরিকা মহাদেশে ১০ লাখের বেশি, এশিয়ায় প্রায় সাত লাখ, আফ্রিকায় ৩৮ হাজার ও ওশেনিয়ায় ৮৬ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৬ কোটি ৭৩ লাখের বেশি, মোট মৃত্যু ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার জনের।,