এক লেবুর ওজন ১ কেজি

ছবি সংগৃহীত

 

দেখতে অনেকটা বড় পেঁপেঁর মতো। কিন্তু পেঁপেঁ নয় এটি লেবু। গাছে থাকা একেকটি লেবুর ওজন রয়েছে এক কেজির বেশি। গাছে থাকা ওইসব লেবু যে কাউকে আকৃষ্ট করছে। দাম ও রয়েছে সাধারণ লেবুর চাইতে বেশ কয়েকগুণ বেশি।

 

এমনি এক বিশাল আকারের দৃষ্টিনন্দন লেবু দেখা গেছে মো. শেখ সাদের বাড়িতে। সাদ পৌর শহরের টানপাড়া এলাকার মো. শেখ ফারুক মিয়ার ছেলে। এরইমধ্যে তার বড় আকারের লেবুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। বিশাল আকৃতির লেবুর নাম জারা লেবু। তবে আকৃতির চেয়েও বিস্ময়কর এর দাম। বাজারে  এ জাতীয় একটি লেবুর দাম রয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। আর হালি হিসেবে কিনলে প্রতি হালির দাম পড়ে ২ হাজার টাকায়।

 

শেখ সাদ বলেন, খুলনায় আমার ভগ্নিপতির বাসায় বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে জারা জাতের লেবু দেখে বীজ আনা হয়। এরপর ওই বীজ থেকে চারা করে নিজ বাড়িতে লাগানো হয়। চারা লাগানোর ৭ মাসের মাথায় ফলন আসে। বর্তমানে আমার ৭টি জারা জাতের লেবু গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটিতে লেবু এসেছে। গাছের এক একটি লেবুর ওজন হচ্ছে ১ কেজির উপর। যা আমাদের এলাকায় সচরাচর দেখা যায় না। তিনি আরো বলেন, মূলত সিলেট এলাকায় জারাসহ নানা রকমের লেবু চাষ হয়।

 

অন্য লেবুর পাশপাশি এ লেবুর স্বাদ ও আকারও ভিন্ন। সাধারণ লেবু প্রতি হালির দাম ২৫-৩০ টাকা। আর জারা লেবু একটি বিক্রি হয় ৫শ টাকায়। জারা সাধারণত ভাতের সঙ্গে এটি খাওয়া হয়। এর রস যেমন-তেমন তবে ছোলা খেতে মিষ্টি।

 

আমরা এখনো কোনো লেবু বিক্রি করেনি। নিজেরা খাচ্ছি এবং আত্মীয় স্বজনকে দিচ্ছি। যেহেতু এই লেবুর ভালো চাহিদা রয়েছে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার ইচ্ছা আছে বলে জানায়।

 

জানা গেছে, জারা একটি লেবু জাতীয় ফল। যা সাইট্রাস গোত্রের মধ্যে ‘ইউনিক’ ফল।  সাইট্রাস গোত্রের আদি তিনটি ফলের মধ্যে কমলা, বাতাবি লেবু ও জারা লেবু রয়েছে। মূলত উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে এ লেবুর ফলন হয়ে থাকে। স্বাদ ও গন্ধে জারা লেবু রয়েছে অন্যতম। এই লেবুটি এক থেকে দুই  কেজি হতে পারে। রসে ভরা লেবুর খোসাও খাওয়া যায়। সে কারণে যে কাউকে আকৃষ্ট করে।

 

দুর্গাপুর থেকে আসা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মূলত কাগজি, চায়না, পাতি আর সিডেলেস লেবু চাষ করতে দেখেছি। কিন্তু জারা লেবু দেখেনি। লোকমুখে শুনে বাড়িতে দেখতে এলাম। আসলেই লেবু খুবই বড়। দেখে খুবই ভালো লেগেছে।

 

পৌর শহরের মসজিদপাড়া এলাকার মো. লিমন মিয়া বলেন, সাধারণ একটি লেবুর ওজন একশ থেকে ৪শ গ্রাম হতে দেখা যায়। কিন্তু ১ কেজির ওপর দেখা যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বড় আকারের লেবু দেখে টানপাড়ায় আসা। দেখে খুবই ভালো লেগেছে।

 

উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ এলাকার মাটি মিশ্র ফলচাষের জন্য খুবই উপযোগী। স্থানীয় কৃষকরা মিশ্র ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছে। এক সময় বছরের নির্দিষ্ট সময় নানা প্রকারের লেবু পাওয়া যেতো। এখন কম-বেশি বারো মাসই পাওয়া যায়। শুনেছি এক কৃষক জারা লেবু চাষ করেছেন। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।  সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

» আওয়ামী লীগের শ্রমিক সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল

» বঙ্গবন্ধু সব সময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন : খাদ্যমন্ত্রী

» ট্রাকচাপায় প্রকৌশলী নিহত

» অপহরণকারী চক্রের সদস্য সিরাজকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার

» কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ২১জন গ্রেপ্তার

» নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য শ্রমিক ও জনগণের জন্য অভিশাপ : ইনু

» শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না : রিজভী

» যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এক লেবুর ওজন ১ কেজি

ছবি সংগৃহীত

 

দেখতে অনেকটা বড় পেঁপেঁর মতো। কিন্তু পেঁপেঁ নয় এটি লেবু। গাছে থাকা একেকটি লেবুর ওজন রয়েছে এক কেজির বেশি। গাছে থাকা ওইসব লেবু যে কাউকে আকৃষ্ট করছে। দাম ও রয়েছে সাধারণ লেবুর চাইতে বেশ কয়েকগুণ বেশি।

 

এমনি এক বিশাল আকারের দৃষ্টিনন্দন লেবু দেখা গেছে মো. শেখ সাদের বাড়িতে। সাদ পৌর শহরের টানপাড়া এলাকার মো. শেখ ফারুক মিয়ার ছেলে। এরইমধ্যে তার বড় আকারের লেবুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। বিশাল আকৃতির লেবুর নাম জারা লেবু। তবে আকৃতির চেয়েও বিস্ময়কর এর দাম। বাজারে  এ জাতীয় একটি লেবুর দাম রয়েছে প্রায় ৫০০ টাকা। আর হালি হিসেবে কিনলে প্রতি হালির দাম পড়ে ২ হাজার টাকায়।

 

শেখ সাদ বলেন, খুলনায় আমার ভগ্নিপতির বাসায় বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে জারা জাতের লেবু দেখে বীজ আনা হয়। এরপর ওই বীজ থেকে চারা করে নিজ বাড়িতে লাগানো হয়। চারা লাগানোর ৭ মাসের মাথায় ফলন আসে। বর্তমানে আমার ৭টি জারা জাতের লেবু গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটিতে লেবু এসেছে। গাছের এক একটি লেবুর ওজন হচ্ছে ১ কেজির উপর। যা আমাদের এলাকায় সচরাচর দেখা যায় না। তিনি আরো বলেন, মূলত সিলেট এলাকায় জারাসহ নানা রকমের লেবু চাষ হয়।

 

অন্য লেবুর পাশপাশি এ লেবুর স্বাদ ও আকারও ভিন্ন। সাধারণ লেবু প্রতি হালির দাম ২৫-৩০ টাকা। আর জারা লেবু একটি বিক্রি হয় ৫শ টাকায়। জারা সাধারণত ভাতের সঙ্গে এটি খাওয়া হয়। এর রস যেমন-তেমন তবে ছোলা খেতে মিষ্টি।

 

আমরা এখনো কোনো লেবু বিক্রি করেনি। নিজেরা খাচ্ছি এবং আত্মীয় স্বজনকে দিচ্ছি। যেহেতু এই লেবুর ভালো চাহিদা রয়েছে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার ইচ্ছা আছে বলে জানায়।

 

জানা গেছে, জারা একটি লেবু জাতীয় ফল। যা সাইট্রাস গোত্রের মধ্যে ‘ইউনিক’ ফল।  সাইট্রাস গোত্রের আদি তিনটি ফলের মধ্যে কমলা, বাতাবি লেবু ও জারা লেবু রয়েছে। মূলত উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে এ লেবুর ফলন হয়ে থাকে। স্বাদ ও গন্ধে জারা লেবু রয়েছে অন্যতম। এই লেবুটি এক থেকে দুই  কেজি হতে পারে। রসে ভরা লেবুর খোসাও খাওয়া যায়। সে কারণে যে কাউকে আকৃষ্ট করে।

 

দুর্গাপুর থেকে আসা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মূলত কাগজি, চায়না, পাতি আর সিডেলেস লেবু চাষ করতে দেখেছি। কিন্তু জারা লেবু দেখেনি। লোকমুখে শুনে বাড়িতে দেখতে এলাম। আসলেই লেবু খুবই বড়। দেখে খুবই ভালো লেগেছে।

 

পৌর শহরের মসজিদপাড়া এলাকার মো. লিমন মিয়া বলেন, সাধারণ একটি লেবুর ওজন একশ থেকে ৪শ গ্রাম হতে দেখা যায়। কিন্তু ১ কেজির ওপর দেখা যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বড় আকারের লেবু দেখে টানপাড়ায় আসা। দেখে খুবই ভালো লেগেছে।

 

উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ এলাকার মাটি মিশ্র ফলচাষের জন্য খুবই উপযোগী। স্থানীয় কৃষকরা মিশ্র ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছে। এক সময় বছরের নির্দিষ্ট সময় নানা প্রকারের লেবু পাওয়া যেতো। এখন কম-বেশি বারো মাসই পাওয়া যায়। শুনেছি এক কৃষক জারা লেবু চাষ করেছেন। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।  সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com