উচ্ছেদ নিয়ে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা বলছে : বঙ্গবাজার মালিক সমিতি

ছবি সংগৃহীত

 

বঙ্গবাজারে হঠাৎ করেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের এমন দাবিকে মিথ্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বঙ্গবাজার মালিক সমিতির নেতারা। তারা বলেছেন, উচ্ছেদ অভিযান হঠাৎ করে নয় বরং আগে থেকেই এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। দফায় দফায় মিটিং করে রোজার ঈদের পর নতুন মার্কেটের কাজ ধরার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বঙ্গবাজারে এসে এসব কথা বলেন নেতারা। তবে মালিক সমিতির নেতাদের এমন মন্তব্যের মঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন উপস্থিত ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির লোকজন মুখোমুখি হলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে মালিক সমিতির লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। এসময় তাদের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতেও শোনা যায়।

 

উচ্ছেদের বিষয়ে বঙ্গবাজার মালিক সমিতির সদস্য শাহ আলম বলেন, তাদেরকে (ব্যবসায়ীদের) আগে থেকেই জানানো হয়েছে যে, এই জায়গাগুলো সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তারা যেন আগেভাগেই তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়। এটি একবার-দুইবার নয় অনেকবার বলা হয়েছে। এখন তারা মিথ্যা কথা বলছে। এসব অভিযোগ আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে করে। তারা আমাদেরকে কিছু বলে না। আমাদের সামনে তাদের এসব অভিযোগ বলুক। যখন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে তখন কোথাও কোনো মালামাল ছিল না।

এসময় এক ব্যবসায়ী সেখানে তাদের সামনে উপস্থিত হলে মালিক সমিতির সদস্য শাহ আলম প্রশ্ন করেন, কোন মার্কেটে আপনার দোকান ছিল? প্রশ্নের উত্তরে এই ব্যবসায়ী বলেন, গুলিস্তান মার্কেটে। তখন শাহ আলম বলেন, আপনাদেরকে তো বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী অবহিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান। পরে মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সমিতির সদস্য শাহ আলম আরো দাবি করেন, বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে বার বার মিটিং করা হয়েছে। ওনারা সমিতিতে আসুক, এসে কথা বলুক।

 

একপর্যায়ে তিনি বলেন, তারা তো মার্কেটের দোকানদার না। তারা কোথা থেকে এসেছে সেটি আমরা বলতে পারব না।

 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় রাজধানীর সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার। পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারকে আধুনিক রূপ দিতে এবং সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে  ‘বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান’। ১০তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট আটটি ফ্লোর। ১.৭৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হতে যাওয়া বহুতল ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে আটটি লিফট, এর মধ্যে চারটি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি চারটি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠা-নামানোর জন্য। এছাড়া থাকবে গাড়ি পার্কিং, খাবারের দোকান, সমিতির অফিস, নিরাপত্তাকর্মী এবং সেখানকার কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা। ভবনটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই: ইসি আলমগীর

» মানুষের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই: রিজভী

» হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়লো

» জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত, সংশোধিত সূচি প্রকাশ

» আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা সন্ধ্যায়

» ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার

» ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত

» শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি জয়নুল আবদিন ফারুকের

» পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

» স্বর্ণালংকারসহ চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

উচ্ছেদ নিয়ে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা বলছে : বঙ্গবাজার মালিক সমিতি

ছবি সংগৃহীত

 

বঙ্গবাজারে হঠাৎ করেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের এমন দাবিকে মিথ্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বঙ্গবাজার মালিক সমিতির নেতারা। তারা বলেছেন, উচ্ছেদ অভিযান হঠাৎ করে নয় বরং আগে থেকেই এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। দফায় দফায় মিটিং করে রোজার ঈদের পর নতুন মার্কেটের কাজ ধরার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বঙ্গবাজারে এসে এসব কথা বলেন নেতারা। তবে মালিক সমিতির নেতাদের এমন মন্তব্যের মঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন উপস্থিত ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির লোকজন মুখোমুখি হলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে মালিক সমিতির লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। এসময় তাদের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতেও শোনা যায়।

 

উচ্ছেদের বিষয়ে বঙ্গবাজার মালিক সমিতির সদস্য শাহ আলম বলেন, তাদেরকে (ব্যবসায়ীদের) আগে থেকেই জানানো হয়েছে যে, এই জায়গাগুলো সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তারা যেন আগেভাগেই তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়। এটি একবার-দুইবার নয় অনেকবার বলা হয়েছে। এখন তারা মিথ্যা কথা বলছে। এসব অভিযোগ আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে করে। তারা আমাদেরকে কিছু বলে না। আমাদের সামনে তাদের এসব অভিযোগ বলুক। যখন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে তখন কোথাও কোনো মালামাল ছিল না।

এসময় এক ব্যবসায়ী সেখানে তাদের সামনে উপস্থিত হলে মালিক সমিতির সদস্য শাহ আলম প্রশ্ন করেন, কোন মার্কেটে আপনার দোকান ছিল? প্রশ্নের উত্তরে এই ব্যবসায়ী বলেন, গুলিস্তান মার্কেটে। তখন শাহ আলম বলেন, আপনাদেরকে তো বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী অবহিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান। পরে মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সমিতির সদস্য শাহ আলম আরো দাবি করেন, বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে বার বার মিটিং করা হয়েছে। ওনারা সমিতিতে আসুক, এসে কথা বলুক।

 

একপর্যায়ে তিনি বলেন, তারা তো মার্কেটের দোকানদার না। তারা কোথা থেকে এসেছে সেটি আমরা বলতে পারব না।

 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় রাজধানীর সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার। পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারকে আধুনিক রূপ দিতে এবং সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে  ‘বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান’। ১০তলা বিশিষ্ট ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট আটটি ফ্লোর। ১.৭৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হতে যাওয়া বহুতল ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে আটটি লিফট, এর মধ্যে চারটি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি চারটি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠা-নামানোর জন্য। এছাড়া থাকবে গাড়ি পার্কিং, খাবারের দোকান, সমিতির অফিস, নিরাপত্তাকর্মী এবং সেখানকার কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা। ভবনটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com