সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : পদত্যাগ করেছেন ‘গাজা হিউম্যানট্যারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ এর প্রধান জেক উড। রবিবার নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।
ইসরায়েল সমর্থিত বিতর্কিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজায় ত্রাণ বিতরণের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল জিএইচএফ নামের এই সংস্থা।
তবে উডের দাবি গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে সংস্থাটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকটি নির্ধারিত বিতরণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য বেসরকারি ঠিকাদার নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে ইসরাইল। এতে যুক্তরাষ্ট্রও সমর্থন দিয়েছে। তবে ওই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ওই পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করবে না।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসকে সহায়তা উপকরণ চুরি থেকে বিরত রাখতে ওই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জিএইচএফ সম্পর্কে বলা হয়, ফিলিস্তিনিরা গাজার দক্ষিণাঞ্চলের চারটি বিতরণ কেন্দ্র থেকে ২০ কেজি ওজনের খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত উপকরণ সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে দুর্বল ও আহত ফিলিস্তিনিরা কীভাবে চারটি বিতরণ কেন্দ্র থেকে ত্রাণ গ্রহণ করবেন এ বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ওই পরিকল্পনার ফলে আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হবেন। এক প্রান্তে ত্রাণ দেওয়ার ফলে সবাই ত্রাণ পাবেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে উড বলেন, মানবিক কার্যক্রমে অভিজ্ঞতার কারণে দুই মাস আগে আমাকে জিএইচএফে’র দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদের মতো গাজার পরিস্থিতি দেখে আমিও আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। একজন মানবতাবাদী নেতা হিসেবে গাজাবাসীর কষ্ট লাঘবের জন্য যা করার দরকার তা করতে বাধ্য।
তিনি বলেন, আমি যে কাজ তদারকি করেছি তাতে আমি গর্বিত।
এদিকে জিএইচএফে’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উডের পদত্যাগে আমরা নিরুৎসাহিত হবো না। সোমবার থেকে ত্রাণ দেওয়া শুরু হবে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ ১০ লাখ ফিলিস্তিনির কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি