বিশ্বাস এমন একটি দামী জিনিস যার মূল্য সবাই দিতে পারে না তাই বলে এই দামী জিনিসটা সবার কাছে সবসময় আশা করবেন না কেননা হারিয়ে যাওয়া সূর্যকে ১২ঘন্টা পরে ফিরে পাওয়া যায় কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসকে সারা বছর অপেক্ষা করলেও ফিরে পাওয়া যায় না।অনেক সময় দেখা যায় আমরা একজন মানুষকে যে কোনো বিষয়ে মিথ্যে কথা বলে খুশি রাখতে চেষ্টা করি তার চাইতে এটা ভালো হয় মানুষটাকে তার বিষয়ে সত্যি কথা বলি যে সত্য শোনার পরে মানুষটি কষ্ট পেয়ে কেঁদে ফেলে তাহলে দেখবেন মানুষটা পরবর্তী সময়ে তার ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবে আর অন্যের প্রতি তার গভীর বিশ্বাস জন্মাবে।
শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে হাজার হাজার সম্পর্ক টিকে আছে। তাই আমরা এমন কোনো কাজ করবোনা,যাতে করে মানুষ আমাদের প্রতি সহজেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। কারণ এই পৃথিবীতে বিশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকা সত্যি অসম্ভব।
এই পৃথিবীতে আবেগপ্রবন মানুষগুলো খুব বোকা হয়ে থাকে।কেননা তারা খুব সহজেই যে কোনো মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে।তাই তারা প্রতারিত হয় বেশি,কষ্টও পায় বেশি।সরল মনে কাউকে খুব সহজে বিশ্বাস করা ঠিক নয়। তাহলে যে কোনো মানুষ যে কোনো সময় খুব সহজেই বড় ধরনের বিপদে পড়বে।
এই পৃথিবীর বুক থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হারিয়ে যায় আমিও সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদের মধ্যে একজন তাইতো ভালোবাসি আমার জন্মধারী মাকে ভালোবাসি এই জন্মভূমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি লেখালেখি করতে ভালোবাসি কবিতা ও কবিতার কথামালা।আর এই সব কিছুর মধ্যে বসবাস করে অন্য একজন মানুষ যে মানুষটি বেঁচে থাকতে চায় অন্যের বিশ্বাস অবিশ্বাসের মাঝে।যে মানুষটি রক্ত মাংসের মানুষ সে মানুষের মাঝে বিশ্বাস অবিশ্বাসের হাতছানি থাকবেই।
ভালোবাসার যেমন কোনো রং থাকে না তেমনি করে আবার নিরব মানুষের ও প্রাণ থাকে,ঠিক আবার হ্নদয়হীনতার মাঝে মন ও প্রেমের কোনো ঘ্রান থাকে না।জ্ঞানীদের মহামূল্যবান উক্তি হলো যে কাউকে ক্ষতি করে,বা কাউকে আঘাত দিয়ে নিজেকে কখনো ভালো কিংবা সুখে রাখা যায় না। তাই কাছের মানুষদের প্রতি বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে হবে তাদেরকে বেশি বেশি ভালোবাসতে হবে এছাড়াও তাদের ভালোবাসাকে সঠিক ও যথার্থভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই দেখবো এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি বস্তুই আমাদের সকলের জন্য সুন্দর ও মাধুর্যময়ী হয়ে উঠবে।
আমাদের সকলকে বিশ্বাসটুকু মজবুত করে ধরে রাখতে হবে,যাতে করে কেউ যেনো কখনোই বলতে না পারে যে, এই পৃথিবীতে আপনাকে বিশ্বাস করে অন্য কেউ ঠকেছে।
লেখক সাংবাদিক মোঃ ফিরোজ খান
Facebook Comments Box