অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খাওয়া যে কারণে বিপজ্জনক

ছবি সংগৃহীত

 

কথায় কথায় অনেকের মধ্যেই গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা আছে। অল্প একটু ঢেকুর উঠলে কিংবা বমি ভাব, বদহজম বা গ্যাস হলেই এ ধরনের ওষুধ খান কমবেশি সবাই। তবে এ ধরনের ওষুধ শরীরে আরও গভীর সমস্যা তৈরি করতে পারে। একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে গ্যাসের ওষুধ।

গত বছর আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজির তরফে একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির কথা। গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা যাদের মধ্যে বেশি, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও বেশি।

আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজিতে গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্সের (জিইআরডি) কথা বলা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ সমস্যা যাতে খাদ্যনালির চেহারা বেশ কিছুটা বদলে যায়। জিইআরডি রোগের জন্য অনেককেই ওষুধ খেতে হয়।

সেই ওষুধটি যারা বেশি খান, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি দেখা গিয়েছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের কারণেই ডিমেনশিয়া হচ্ছে, এমনটা বলা হচ্ছে না।

গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ

এটি খাদ্যনালির একটি বিশেষ সমস্যা। পাকস্থলির মধ্যে অনেকটা অ্যাসিড থাকে। খাদ্যনালি যেখানে পাকস্থলির সঙ্গে মেশে, সেখানে একটি ভালভ থাকে।

 

এই ভালভ পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালিতে উঠে আসতে দেয় না। কিন্তু ভালভটি নষ্ট হয়ে গেলে খাদ্যনালিতে অ্যাসিড উঠে আসে। যার ফলে গলা ও বুক জ্বালা হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হয়।

আর কীসের ঝুঁকি বাড়ে?

ড্রাগ রেসিসটেন্স

এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সমস্যা। চিকিৎসকরা প্রায়ই এই সমস্যার কথা বলেন। দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কোনো ওষুধ খেকলে ধীরে ধীরে সেই ওষুধের সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে থাকে।

এমনকি ওষুধের প্রভাব কমতে থাকে একসময়। পরে ওষুধ নিস্ক্রিয়ও হয়ে পড়ে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া গ্যাসের ওষুধ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকদের একাংশ।

একাধিক গ্যাসের ওষুধে মাথাব্যথা হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এছাড়া অতিরিক্ত অ্যান্টি বায়োটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একই সঙ্গে গ্যাসের ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। যার মধ্যে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব অন্যতম। সূত্র: এবিপি লাইভ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না, পরিষ্কার ধারণা ছিল : জিএম কাদের

» চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন : মেয়র আতিক

» হলিউডের সিনেমাকে ‘না’ বললেন ক্যাটরিনা!

» আগামীকাল থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাপদাহে যেভাবে চলবে ক্লাস

» ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী এপ্রিলে

» আজকের খেলা

» উন্নয়নের ভেলকিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী

» মেয়র আতিক চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ ব্যবস্থা

» শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

» শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খাওয়া যে কারণে বিপজ্জনক

ছবি সংগৃহীত

 

কথায় কথায় অনেকের মধ্যেই গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা আছে। অল্প একটু ঢেকুর উঠলে কিংবা বমি ভাব, বদহজম বা গ্যাস হলেই এ ধরনের ওষুধ খান কমবেশি সবাই। তবে এ ধরনের ওষুধ শরীরে আরও গভীর সমস্যা তৈরি করতে পারে। একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে গ্যাসের ওষুধ।

গত বছর আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজির তরফে একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির কথা। গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা যাদের মধ্যে বেশি, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও বেশি।

আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজিতে গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্সের (জিইআরডি) কথা বলা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ সমস্যা যাতে খাদ্যনালির চেহারা বেশ কিছুটা বদলে যায়। জিইআরডি রোগের জন্য অনেককেই ওষুধ খেতে হয়।

সেই ওষুধটি যারা বেশি খান, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি দেখা গিয়েছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের কারণেই ডিমেনশিয়া হচ্ছে, এমনটা বলা হচ্ছে না।

গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ

এটি খাদ্যনালির একটি বিশেষ সমস্যা। পাকস্থলির মধ্যে অনেকটা অ্যাসিড থাকে। খাদ্যনালি যেখানে পাকস্থলির সঙ্গে মেশে, সেখানে একটি ভালভ থাকে।

 

এই ভালভ পেটের অ্যাসিডকে খাদ্যনালিতে উঠে আসতে দেয় না। কিন্তু ভালভটি নষ্ট হয়ে গেলে খাদ্যনালিতে অ্যাসিড উঠে আসে। যার ফলে গলা ও বুক জ্বালা হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হয়।

আর কীসের ঝুঁকি বাড়ে?

ড্রাগ রেসিসটেন্স

এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সমস্যা। চিকিৎসকরা প্রায়ই এই সমস্যার কথা বলেন। দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কোনো ওষুধ খেকলে ধীরে ধীরে সেই ওষুধের সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে থাকে।

এমনকি ওষুধের প্রভাব কমতে থাকে একসময়। পরে ওষুধ নিস্ক্রিয়ও হয়ে পড়ে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া গ্যাসের ওষুধ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকদের একাংশ।

একাধিক গ্যাসের ওষুধে মাথাব্যথা হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এছাড়া অতিরিক্ত অ্যান্টি বায়োটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একই সঙ্গে গ্যাসের ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। যার মধ্যে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব অন্যতম। সূত্র: এবিপি লাইভ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com