ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক :মাত্র এক সপ্তাহ আগে বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে ১৩ বছরের কিশোর হুসাইন বেপারীকে নতুন একটি অটোরিকশা কিনে দেন আত্বীয়-স্বজনরা। আর সেই রিকশাটিই কাল হলো হুসাইনের জন্য। আজ শুক্রবার ভোরে হুসাইনের গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নতুন রিকশাটি ছিনতাই করে নিতে নিয়ে হত্যা করা হয় হুসাইনকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অটোরিকশা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় হুসাইন। রাতে বাড়িতে না ফেরায় স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে খোঁজ করে। শুক্রবার ভোরে শহরের ভাটি লক্ষীপুর এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত হুসাইন বেপারী শহরের চর টেপাখোলা বেপারী পাড়ার মৃত খোকা বেপারীর ছেলে। তার মায়ের নাম শেফালী বেগম।
হুসাইনের চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান জানান, তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল হুসাইন বেপারী। বড় তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে হুসাইনের বাবা মারা যায়। ফলে সংসার চালানোর মতো উপার্জন কেউ না থাকায় হুসাইনকে একটি নতুন অটোরিকশা কিনে দেয়া হয়। সে এ রিকশা চালিয়ে মাকে নিয়ে থাকতো। দুবৃর্ত্তরা রিকশাটি ছিনতাই করতে গিয়ে হুসাইনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশটি ফেলে রেখে যায়।
কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক সনাতন জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। যারা এ ই হত্যাকাণ্ডেড় সাথে জড়িত তাদের ধরতে উদ্ধার অভিযান চলছে।