করোনা আক্রান্তরা ১০ দিন আইসোলেশন শেষে কোনো উপসর্গ না থাকলে কাজে ফিরতে চাইলে আরটিপিসিআর সনদের প্রয়োজন হত। আপাতত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ দিন আইসোলেশনে থাকার পর উপসর্গ না থাকলে করোনার নেগেটিভ সনদ ছাড়াই কাজে ফেরা যাবে। কাজে ফিরে যাওয়ার শর্ত হিসেবে আগে আরটিপিসিআর সনদ নিয়ে যেতে হতো, সেটিকে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের করোনা পজিটিভ হয়েছে, তাদের ১০ দিনের জন্য আইসোলেশন করতে বলব। ১০ দিন পর জ্বর ভালো হয়ে গেলে, উপসর্গ চলে গেলে তিনি আবার তার কাজে ফিরে যাবেন।
আক্রান্তের ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে বলেও স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা বুস্টার ডোজের জন্য অপেক্ষা করছেন, যাদের খুদে বার্তা এসেছে বা আসবে, অথচ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ গ্রহণ করবেন।
এর আগে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০। শনাক্ত ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৮৮ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।
গত সাত দিনে দেশের করোনা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই সংক্রমণের হার বেড়ে চলছিল। ২৯ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার খানিকটা কমেছে। শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮ জন—৩১ শতাংশের বেশি। ছুটির দিনের কারণে এ শনাক্ত কম হতে পারে। তবে আজকের করোনার বুলেটিনে বোঝা যাবে, বাস্তব অবস্থার কতটা কাছাকাছি আমরা আছি। গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ২৫ জানুয়ারি। সেদিন ১৬ হাজার ৩৩ জন শনাক্ত হয়েছিলেন—৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। সূএ:ঢাকাটাইমস ডটকম