পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছেন পাঞ্জাবের গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পার্লামেন্টের অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় অধিবেশনে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, এমনকি ডেপুটি স্পিকার সরদার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি হামলার শিকার হন। এই ঘটনার জের ধরেই মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।
রোববার পাঞ্জাবের গভর্নর মর সরফরাজ চিমা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঞ্জাবের অ্যাসেম্বলিতে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেটি খুবই নিন্দনীয়। আমি নিজেও একজন রাজনৈতিক কর্মী, ভোটের জন্য যুদ্ধ করছি এবং এটা খুবই ভুল নজির স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, লক্ষণীয় বিষয় যে শনিবারের সেশনে ১৯৭ জন সদস্য হামজাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত করতে ভোট দিয়েছেন। হামজার যদি পর্যাপ্ত ভোট থাকে তাহলে তার নির্বাচনকে বিতর্কিত করা উচিত নয়।
ওমর সরফরাজ আরও বলেন, ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি ‘পক্ষপাতমূলক’ কাজ করেছেন। গভর্নরের কার্যালয় থেকে পাঞ্জাবের অ্যাডভোকেট-জেনারেলের পাশাপাশি ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্পিকারের কাছে চিঠি লেখা হবে বলেও জানান তিনি।
আসলেই লাহোর হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাঞ্জাবের গভর্নর বলেন, অধিবেশন চলাকালীন যে সহিংসতা হয়েছে তার বিষয়ে তিনি পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির সচিবের কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন তলব করেছেন।
গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা বলেন, সাংবিধানিক অফিসে বসে আমি অসাংবিধানিক কাজ সমর্থন করতে পারি না। আমি এই শপথ গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করবো যখন আমি সন্তুষ্ট হবো যে এই নির্বাচন সংবিধান এবং লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে পরিচালিত হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ওমর সরফরাজকে অপসারণের জন্য প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণী পাঠিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গ নিয়ে চিমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কোনো অধিকার নেই তাকে অপসারণ করার। প্রেসিডেন্ট তাকে বিষয়টি অবহিত না করা পর্যন্ত তিনি তার গভর্নরের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।