হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বামৈ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় পলাতক থাকা মুমিনুল নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একাধিকবার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শিক্ষক মুমিনুল।
শনিবার সকালে এসব তথ্য র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানারপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রী ২০২২ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুমিনুল হক তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। একাধিকবার শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানিরও চেষ্টা করেছে। গত ১৬ মার্চ সকালে প্রাত্যহিক সমাবেশ শুরু হলে ওই ছাত্রী অসুস্থতা বোধ করায় বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন। এসময় মুমিনুল হক ক্লাসে গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ও আয়া গৌরী সেখানে গেলে মুমিনুল তড়িঘড়ি নিচে নেমে আসেন। পরে আবারও গিয়ে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন মুমিনুল। তখন ওই ছাত্রীর চিৎকারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিমসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে ওই ছাত্রী রক্ষা পায়।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রী আত্মহত্যারও চেষ্টা করে বলে দাবি করেন তার বাবা । এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত ও তার বিচার দাবিতে হবিগঞ্জ-লাখাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে লাখাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মুমিনুল হককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে শিক্ষক মুমিনুল পলাতক ছিলেন।