সিরাজগঞ্জে কারা এই অস্ত্রধারী?

সিরাজগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় যে ৪ জনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে, তাদের এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র বলেছে, ওই ৪ জনের মধ্যে অন্তত দুজন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যদিও যুবলীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিএনপির দাবি এরা সবাই যুবলীগ নেতাকর্মী। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ শহরে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

 

জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কায়সার পারভেজ কাজল দাবি করেন, লাল-কালো গেঞ্জি পরা যে যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়েছেন, তার বাড়ি পৌর শহরের দত্তবাড়ি মহল্লায়। তার নাম বায়েজিদ আহম্মেদ।

আর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কালো গেঞ্জি পরিহিত যে যুবককে দেখা গেছে, তিনি পৌর শহরের কালগয়লা মহল্লার সুমন হোসেন। দত্তবাড়ী মহল্লার জিন্সপ্যান্ট ও স্কাই ব্লু শার্ট পরিহিত তার নাম জনি। তাকে কালো রংয়ের একটি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়। তারা সকলেই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সংঘর্ষে অংশ নেয়া অন্য আরেক জনকে এখনো কেউ চিহ্নিত করতে পারেনি। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম হোসেন বলেন, এসব অস্ত্রধারীকে আমরা কেউ চিনি না। আমাদের যুবলীগের কর্মী বা সমর্থক হিসেবে আমি কোনোদিন দেখিনি। এরা কারা তাদের আমরাও খুঁজছি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন আলী হাসান বলেন, অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা আমাদের দলের কেউ নন। এমনকি আমি তাদের কোনোদিন দেখিনি। আর আমাদের যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু  বলেন, ‘ওরা যুবলীগের হয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে, সেটি সবাই জানে। কাজেই আমরা ধরে নেবো এরা যুবলীগের কর্মী। এমন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে শহরবাসী উদ্বিগ্ন, স্তম্ভিত। হামলার ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে আমরা মামলা করবো। আমাদের মামলার প্রস্তুতি চলছে। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ‘আমরা মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। যদি কেউ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে থাকেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় ৩টি মামলা করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় এক ব্যবসায়ী একটি মামলা করেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধমক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে চাইলে বিএনপি সহ্য করবে না : ফারুক

» পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দেশের স্বার্থে বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৫৩ জন গ্রেফতার

» হজ শেষে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি

» জামালপুরে নারী এগিয়ে চলা প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত

» জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  মোরেলগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

» ইসলামপুরে রহিম মেম্বার হত্যা সন্দেহে দুইজন আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সিরাজগঞ্জে কারা এই অস্ত্রধারী?

সিরাজগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় যে ৪ জনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে, তাদের এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র বলেছে, ওই ৪ জনের মধ্যে অন্তত দুজন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যদিও যুবলীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিএনপির দাবি এরা সবাই যুবলীগ নেতাকর্মী। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ শহরে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

 

জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কায়সার পারভেজ কাজল দাবি করেন, লাল-কালো গেঞ্জি পরা যে যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়েছেন, তার বাড়ি পৌর শহরের দত্তবাড়ি মহল্লায়। তার নাম বায়েজিদ আহম্মেদ।

আর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কালো গেঞ্জি পরিহিত যে যুবককে দেখা গেছে, তিনি পৌর শহরের কালগয়লা মহল্লার সুমন হোসেন। দত্তবাড়ী মহল্লার জিন্সপ্যান্ট ও স্কাই ব্লু শার্ট পরিহিত তার নাম জনি। তাকে কালো রংয়ের একটি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়। তারা সকলেই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সংঘর্ষে অংশ নেয়া অন্য আরেক জনকে এখনো কেউ চিহ্নিত করতে পারেনি। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম হোসেন বলেন, এসব অস্ত্রধারীকে আমরা কেউ চিনি না। আমাদের যুবলীগের কর্মী বা সমর্থক হিসেবে আমি কোনোদিন দেখিনি। এরা কারা তাদের আমরাও খুঁজছি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন আলী হাসান বলেন, অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা আমাদের দলের কেউ নন। এমনকি আমি তাদের কোনোদিন দেখিনি। আর আমাদের যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো হয়নি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু  বলেন, ‘ওরা যুবলীগের হয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে, সেটি সবাই জানে। কাজেই আমরা ধরে নেবো এরা যুবলীগের কর্মী। এমন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে শহরবাসী উদ্বিগ্ন, স্তম্ভিত। হামলার ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে আমরা মামলা করবো। আমাদের মামলার প্রস্তুতি চলছে। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ‘আমরা মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। যদি কেউ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে থাকেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় ৩টি মামলা করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় এক ব্যবসায়ী একটি মামলা করেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com