সারা বছরে একবার নামাজ হয় মসজিদটিতে

ছবি: সংগৃহীত

 

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় প্রচলিত দুটি প্রধান ধর্মের মধ্যে একটি ইসলাম, অন্যটি খ্রিস্টান ধর্ম।

ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার একটি শহর জভোর্নিক। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সারবাসকা প্রদেশে অবস্থিত এ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দ্রিনা নদী। নদীর তীরবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় কুশলাত মসজিদের অবস্থান। এ মসজিদের অবাক করা বিষয় হলো, বছরে একবার এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিদিনের অন্যান্য নামাজ এখানে অনুষ্ঠিত হয় না। কেননা হেঁটে প্রতিদিন বিপজ্জনক সরু পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বছরে একবারই এ মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত ২৬ আগস্ট এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আশপাশের মুসলিমরা আগ্রহভরে এ নামাজে অংশ নেন। এতে ইমাম ছিলেন শায়খ আহমেদ হোসকানোভিচ।
কুশলাত মসজিদকে ‘বিজয়ের প্রতীক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম এই প্রাচীন মসজিদের আকৃতি অনেকটা বাজপাখির বাসার মতো।

মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক এলাকায় অবস্থিত মসজিদটির উচ্চতা ও দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন সাজসজ্জা একে অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে।

ইসলামিক ইউনিয়ন অব ইমামের প্রধান আহমেত হোসকানোভিচ জুমার খুতবায় বলেছেন, ‘কুশলাত মসজিদ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। উসমানীয় শাসনামলের প্রথম দিকে তা নির্মিত হয়। ১৪৬০-১৪৮০ সালে অঞ্চলটি বিজয়ের সময় উসমানীয় সেনারা মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। কনজেভেজ পোলজে ও জোভরনিক এলাকার মধ্যে একটি পাহাড়ের চূড়ায় তা তৈরি করা হয়।

১৯৯২-১৯৯৫ সালে বসনিয়া হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের সময় সার্ব সৈন্যরা মসজিদটি পুড়িয়ে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মুসলিম দেশের সহায়তায় মসজিদটি পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের পর ২০১৩ সালে তা মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানে প্রতিবছর আগস্টের শেষ সপ্তাহে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়ি ভাঙাটা ছিল শেখ হাসিনার অ্যাকশনের রিঅ্যাকশন: সারজিস

» যারাই ক্ষমতায় যাক অন্যায়ের বিচার হতে হবে : তারেক রহমান

» সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা

» নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উচিত : ফখরুল

» ‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়

» বিমান বাহিনী প্রধানের যুক্তরাষ্ট্র গমন

» পুলিশের ১২৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

» স্বর্ণের দাম বাড়ল

» ৬০০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারির স্মার্টফোনের ভিভো ভি৫০ ফাইভজি

» রমজান ও ঈদের সেরা মুহূর্ত ক্যাপচার করে জিতে নিন ভিভো ভি৫০ ফাইভজি

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সারা বছরে একবার নামাজ হয় মসজিদটিতে

ছবি: সংগৃহীত

 

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় প্রচলিত দুটি প্রধান ধর্মের মধ্যে একটি ইসলাম, অন্যটি খ্রিস্টান ধর্ম।

ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার একটি শহর জভোর্নিক। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সারবাসকা প্রদেশে অবস্থিত এ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দ্রিনা নদী। নদীর তীরবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় কুশলাত মসজিদের অবস্থান। এ মসজিদের অবাক করা বিষয় হলো, বছরে একবার এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিদিনের অন্যান্য নামাজ এখানে অনুষ্ঠিত হয় না। কেননা হেঁটে প্রতিদিন বিপজ্জনক সরু পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বছরে একবারই এ মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত ২৬ আগস্ট এখানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আশপাশের মুসলিমরা আগ্রহভরে এ নামাজে অংশ নেন। এতে ইমাম ছিলেন শায়খ আহমেদ হোসকানোভিচ।
কুশলাত মসজিদকে ‘বিজয়ের প্রতীক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম এই প্রাচীন মসজিদের আকৃতি অনেকটা বাজপাখির বাসার মতো।

মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক এলাকায় অবস্থিত মসজিদটির উচ্চতা ও দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন সাজসজ্জা একে অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে।

ইসলামিক ইউনিয়ন অব ইমামের প্রধান আহমেত হোসকানোভিচ জুমার খুতবায় বলেছেন, ‘কুশলাত মসজিদ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। উসমানীয় শাসনামলের প্রথম দিকে তা নির্মিত হয়। ১৪৬০-১৪৮০ সালে অঞ্চলটি বিজয়ের সময় উসমানীয় সেনারা মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। কনজেভেজ পোলজে ও জোভরনিক এলাকার মধ্যে একটি পাহাড়ের চূড়ায় তা তৈরি করা হয়।

১৯৯২-১৯৯৫ সালে বসনিয়া হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের সময় সার্ব সৈন্যরা মসজিদটি পুড়িয়ে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি মুসলিম দেশের সহায়তায় মসজিদটি পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের পর ২০১৩ সালে তা মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানে প্রতিবছর আগস্টের শেষ সপ্তাহে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com