যদি আপনি এমন জায়গায় থাকেন যে, সেখানে ইফতারের কিছুই নেই, কিংবা ইফতার করার কোনো সুযোগ নেই, তখন আপনি শুধু ইফতারের নিয়তটা করে নেবেন। ইফতারের দোয়াটা পড়লেই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে। ইফতারের নিয়ত করলেই আপনার রোজা শেষ হয়ে যাবে। এতে রোজার কোনো সমস্যা হবে না।
যখন সুযোগ হবে, কিংবা খাবার পাবেন, তখন খেয়ে নেবেন। আপনার রোজা হয়ে যাবে। শুধু নিয়ত করলেই আপনার রোজা হয়ে যাবে। নিয়ত না করলে আবার হবে না। আপনি খান আর না খান, আপনি নিয়তটা করে নেবেন।
তবে সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উত্তম। রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নাও। এতটুকু বিলম্ব করো না। এ সম্পর্কে তিরমিজি শরীফে উল্লেখ আছে যে, আমি ওই ব্যক্তিকে সর্বাধিক ভালোবাসি, যে ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নেয়।
আবু দাউদ শরিফে আছে, হজরত রাসূলে পাক (সা.) যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন, আমার তৃষ্ণা নিবৃত্ত, আমার শিরা উপশিরা সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহপাক পরওয়ারদেগারের পুরস্কার নির্ধারিত হয়ে গেছে।
ইফতারের আগে যে দোয়া পড়তে হয়
بِسْمِ الله – اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।
অর্থ: ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ, মিশকাত)
অন্য কারো ঘরে মেহমান হয়ে ইফতার করলে এ দোয়া পড়া-
أَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ.
উচ্চারণ : আকালা ত্বাআমাকুমুল আবরারু, ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাতু, ওয়া আফত্বারা ইংদাকুমুস সায়িমুন।’ (আবু দাউদ)
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম