স্যালাইন হাতে বন্ধুর পাশে দাড়িয়ে আছে বন্ধু। স্যালাইন স্ট্যান্ড নেই, তাই বন্ধুর জন্য স্যালাইন হাতেই দাড়িয়ে আছেন। কিছুক্ষণ পর একজন নার্স এসে সুতা দিয়ে জানালার সাথে বেঁধে রাখতে বলেন। সকালে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে বারান্দায় দেখা মিলে এমন চিত্র। ডায়রিয়া পরিস্থিতি কোন ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। গত ২৪ ঘন্টায় সদর হাসপাতালে নতুন করে আরও ৯৫ জন ভর্তি হয়েছেন । বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৪০ জন। এ নিয়ে গত রবিবার থেকে ৫ দিনে ৩২০ জন রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। যাদের মধ্যে থেকে ১৮০ জনকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১২ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীদের জায়গা না হওয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দা, মেঝেতে। প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ার কারণে হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগী ও স্বজনদের চাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সব মিলিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরফ মিশ্রিত শরবত ও পৌরসভার কিছু এলাকার পানি বিষাক্ত হওয়ায় এ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে তদন্ত কমিটির দাবী। রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, বেশির ভাগ ঔষুধ স্যালাইনই বাইরে ফার্মেসী থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রচন্ড গরমে বারান্দা রোগীর সাথে থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন রোগীর স্বজনেরা।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ শেখ আব্দুল হান্নান বলেন, রাজবাড়ীর ডায়রিয়া বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডায়রিয়ার কারণ জানতে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ওই টিম জানিয়েছেন বরফ মিশ্রিত শরবত ও পৌরসভার কিছু এলাকার পানি বিষাক্ত হওয়ায় এ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে সার্বক্ষনিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষনিক কাজ করছেন।