মেঝে পরিষ্কারের সহজ উপায়

ছবি সংগৃহীত

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  সারা দিন আপনি বাইরে নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও দিনশেষে ঘরই আপনার প্রকৃত আশ্রয়স্থল। তাই ঘরটি যদি পরিপাটি থাকে তবে মন থাকে ফুরফুরে। বিশেষ করে ঘরের মেঝেতে পা রেখে যদি পরিচ্ছন্ন অনুভূত হয় তখন কাজ করে আলাদা রকমের প্রশান্তি। একটু কৌশল অবলম্বন করে আপনার ঘরের মেঝেকেও রাখতে পারেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেই ক্ষেত্রে-

 

১। প্রতিদিন আপনার ঘরের মেঝে পরিষ্কার করুন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে। তারপর ভিজে নরম কাপড় বা মপ দিয়ে মুছে নিন। মোছার সময় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লিকুইড দিতে ভোলা যাবে না। এতে মশা, মাছি, আরশোলার উপদ্রব থেকে আপনি থাকবেন নিশ্চিন্ত।

২। আপনার ঘরের মেঝে যদি সাদা মার্বেলের হয়ে থাকে তা পরিষ্কার রাখা কষ্টকরই বটে। কিন্তু আপনিও চাইলে মেঝেটি ঝকঝকে রাখতে পারেন। সেজন্য তারপিন তেলে সামান্য লবণ মিশিয়ে মুছে নিন। এতে সাদা রং আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবে।

 

৩। প্রতিদিনই কাজের ফাঁকে সামান্য অসাবধানতায় মেঝে নোংরা হয় চা-কফির দাগে। এই দাগ দূর করতে এক ভাগ সাদা ভিনেগারের সঙ্গে দুই ভাগ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। যখনই কোথাও দাগ তৈরি হবে মিশ্রণটি ব্যবহার করা যাবে। এই মিশ্রণ চা-কফির দাগ তুলতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।

 

৪। কারপেট পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন। প্রতিমাসে অন্তত দুবার কারপেট পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কারপেট পরিষ্কার করা সবচেয়ে ভালো।

 

৫। টাইলসের মেঝের দাগ তোলার জন্য গরম পানিতে লবণ গুলে মুছে নিন। দেখুন কী রকম ঝকঝক করবে।

 

৬। কাঠের মেঝের দাগ তুলতে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে, নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কাঠের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনজার (অ্যামোনিয়া ফ্রি) দিয়ে মুছে নিন।

 

৭। বাথরুমের মেঝে খুব সহজেই নোংরা হয়। বেশিক্ষণ ভিজে থাকে বলে জীবাণু জন্মায়। তাই বাথরুম ব্যবহার করার পর একবার শুকনো করে মুছে নিন। তবে কখনোই খুব বেশি গরম পানি দিয়ে বাথরুমের মেঝে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে বেসিন কমোড ক্র্যাকড হয়ে যায়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ফখরুল-আব্বাসসহ ৬৭ জনকে অব্যাহতি দিলো আদালত

» জামায়াতের আন্দোলন সরকারবিরোধী না : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

» জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

» জামায়াত মূলত সরকারকে চাপ দিতে মাঠে আন্দোলন করছে: জাহেদ

» যারা ছবি নিয়ে রাজনীতি করেন তারা বস্তি: রুমিন ফারহানা

» মন্ত্রী-এমপিদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক ক্ষতি করে ফেলেছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

» উপদেষ্টা নূরজাহান আপার ক্যান্সার, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার বিষয় মানবিক: আসিফ

» ফরিদপুরে সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে অসন্তোষ অনাকাঙ্ক্ষিত: ইসি সচিব

» আমরা জাতি হিসেবে ব্যর্থ হতে চাই না : প্রধান উপদেষ্টা

» আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিনামূল্যে বিউটিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন করলো মানব কল্যাণ পরিষদ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মেঝে পরিষ্কারের সহজ উপায়

ছবি সংগৃহীত

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  সারা দিন আপনি বাইরে নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও দিনশেষে ঘরই আপনার প্রকৃত আশ্রয়স্থল। তাই ঘরটি যদি পরিপাটি থাকে তবে মন থাকে ফুরফুরে। বিশেষ করে ঘরের মেঝেতে পা রেখে যদি পরিচ্ছন্ন অনুভূত হয় তখন কাজ করে আলাদা রকমের প্রশান্তি। একটু কৌশল অবলম্বন করে আপনার ঘরের মেঝেকেও রাখতে পারেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেই ক্ষেত্রে-

 

১। প্রতিদিন আপনার ঘরের মেঝে পরিষ্কার করুন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে। তারপর ভিজে নরম কাপড় বা মপ দিয়ে মুছে নিন। মোছার সময় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লিকুইড দিতে ভোলা যাবে না। এতে মশা, মাছি, আরশোলার উপদ্রব থেকে আপনি থাকবেন নিশ্চিন্ত।

২। আপনার ঘরের মেঝে যদি সাদা মার্বেলের হয়ে থাকে তা পরিষ্কার রাখা কষ্টকরই বটে। কিন্তু আপনিও চাইলে মেঝেটি ঝকঝকে রাখতে পারেন। সেজন্য তারপিন তেলে সামান্য লবণ মিশিয়ে মুছে নিন। এতে সাদা রং আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবে।

 

৩। প্রতিদিনই কাজের ফাঁকে সামান্য অসাবধানতায় মেঝে নোংরা হয় চা-কফির দাগে। এই দাগ দূর করতে এক ভাগ সাদা ভিনেগারের সঙ্গে দুই ভাগ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। যখনই কোথাও দাগ তৈরি হবে মিশ্রণটি ব্যবহার করা যাবে। এই মিশ্রণ চা-কফির দাগ তুলতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।

 

৪। কারপেট পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন। প্রতিমাসে অন্তত দুবার কারপেট পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কারপেট পরিষ্কার করা সবচেয়ে ভালো।

 

৫। টাইলসের মেঝের দাগ তোলার জন্য গরম পানিতে লবণ গুলে মুছে নিন। দেখুন কী রকম ঝকঝক করবে।

 

৬। কাঠের মেঝের দাগ তুলতে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে, নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কাঠের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনজার (অ্যামোনিয়া ফ্রি) দিয়ে মুছে নিন।

 

৭। বাথরুমের মেঝে খুব সহজেই নোংরা হয়। বেশিক্ষণ ভিজে থাকে বলে জীবাণু জন্মায়। তাই বাথরুম ব্যবহার করার পর একবার শুকনো করে মুছে নিন। তবে কখনোই খুব বেশি গরম পানি দিয়ে বাথরুমের মেঝে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে বেসিন কমোড ক্র্যাকড হয়ে যায়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com