মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে ৮ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। সেঞ্চুরি তুলে নেন ডেভিড মালান।
জাতীয় দলের জার্সিতে মিরপুরে আগেই ২৭ ম্যাচ খেলে ফেলেছিলেন মালান। তাইতো মিরপুরের সবকিছুই তার নখদর্পনে। বাটলার, ভিঞ্চ, সল্টরা যখন অচেনা উইকেট, বিরুদ্ধ কন্ডিশনে নাকানিচুবানি খাচ্ছিলেন তখন মালান সিদ্ধহস্তে সামলে নিয়েছেন সকল প্রতিকূলতা।
মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে তার মূল্যায়ন শুনলে অবাকই হবেন, ‘উইকেটে শিশির প্রভাব রাখছিল এবং বল সে কারণে স্কিড করছিল। আমরা দ্রুত খেলা শুরু করেছি কারণ জানতাম এখানে শিশির প্রভাব রাখে। জানতাম শেষ দিকে এসে ব্যাটিং করা সহজ হবে যদি আপনি ম্যাচে থাকেন। আমার চেষ্টাই ছিল যতটা সম্ভব নিজেকে লড়াইয়ে রাখা এবং শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা।
মালানকে মিরপুরের এমন উইকেট সম্পর্কে মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে ঢাকা লিগ ও বিপিএল। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ঢাকা লিগে প্রথম খেলতে আসেন মালান। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে খেলেন ৮ ম্যাচ। পরের মৌসুমেও একই দলের হয়ে ১৬ ইনিংস খেলেন। ঢাকা লিগে দুই মৌসুমে ২৪ ম্যাচে ৯০২ রান করার অভিজ্ঞতা চাট্টেখানি কথা নয়। যেখানে ছিল ১ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটি। এছাড়া ২০১৬ থেকে বিপিএলেও খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, কুমিল্লা ওয়ারির্স, খুলনা টাইটান্স ও বরিশাল বুলসে খেলেছেন। যেখানে ২৮ ম্যাচে তার রান ৮৬৯। রয়েছে ১ সেঞ্চুরি, ৫ ফিফটি।
বাংলাদেশের মাটিতে এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে মিরপুরে রান করার সহজ পথ খুঁজে পেয়েছেন মালান। ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তার ১১৪ রানের ঝকঝকে ইনিংসে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতেছে ইংল্যান্ড। মাত্র ৩ উইকেটে জিতলেও দলের জয়ে অবদান রাখতে পারায় দারুণ খুশি ১৬তম ওয়ানডে খেলতে নামা মালান। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন