বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মশা!

মশা ছোট হলেও বিপজ্জনক এক পতঙ্গ। মশা এক প্রকারের ছোট মাছি প্রজাতির পতঙ্গ। মশার অনেক প্রজাতি আছে। অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশা স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত পান করে থাকে।

 

তবে কিছু মশা রোগজীবাণু সংক্রামক। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। এ কারণে মশা সবার কাছেই ভয়ের কারণ।

অনেকেই হয়তো ভাবছেন, মশা আবার সুন্দর হয় কীভাবে? আসলে আমরা সব সময় যে ধরনের মশা দেখতে পাই, তার চেয়ে বেশ সুন্দর প্রজাতির মশা হলো সাবেথেস সায়ানিয়াস। এটি মশার একটি ক্রান্তীয় প্রজাতি, যা দেখতে চোখ ধাঁধানো বটে।

 

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গলে দেখা মেলে স্যাবেথেস মশার। বিরল প্রজাতির এই মশার গায়ে দেখা যায় নীল, বেগুনি ও কালোর মিশেল। দুই পাশে আছে রহস্যময় পালকের মতো প্যাডেল। এ কারণেই মশার এই প্রজাতি সুন্দরের তকমা পেয়েছে।

;ll

এরা দেখতে যেন ঠিক রাজকীয় মশা। এর সৌন্দর্য দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। তবে তাদেরকে দেখা পাওয়াও মুশকিল। কারণ এই প্রজাতির মশা অত্যন্ত ছদ্মবেশী। তাই এদের ছবি তোলাও কঠিন।

বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার গিল উইজেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘মশার ছবি তোলা হয়তো সবচেয়ে কষ্টকর। কারণ তারা বারবার জায়গা পরিবর্তন করে।’

 

‘এজন্য মশার ছবি তুলতে গেলে ফটোগ্রাফারকেও স্থির হয়ে থাকতে হয়। আবার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলেও বিপদ। মশা দ্রুত ওই স্থান ছেড়ে পালায়।’

nj

সাবেথেস সায়ানিয়াস মশার বিশেষত্ব হলো, তার শরীরের দু’পাশের পাখনায় পালক আছে। তবে এই পালকের কাজ কী, তা বিজ্ঞানীরা এখনও জানতে পারেননি। যদিও এ মশার সৌন্দর্য অনস্বীকার্য। তবুও এটি বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।

পৃথিবীতে মশার ৩৩০০ টিরও বেশি প্রজাতির আছে। এদের মধ্যে শুধু স্ত্রী মশারাই রক্ত খেয়ে থাকে। যখন তারা ডিম উৎপাদন করতে চায় তখনই রক্ত খায়।

 

প্রজাতি অনুযায়ী ডিম থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হওয়ার সময়ের পার্থক্য দেখা যায়। কিছু প্রজাতির ডিম থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে পাঁচ দিনের মতো। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে ৪০ দিন বা কিছু প্রজাতির ক্ষেত্রে আরও বেশি।

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল/বিবিসি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধমক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে চাইলে বিএনপি সহ্য করবে না : ফারুক

» পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দেশের স্বার্থে বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৫৩ জন গ্রেফতার

» হজ শেষে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি

» জামালপুরে নারী এগিয়ে চলা প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত

» জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  মোরেলগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

» ইসলামপুরে রহিম মেম্বার হত্যা সন্দেহে দুইজন আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মশা!

মশা ছোট হলেও বিপজ্জনক এক পতঙ্গ। মশা এক প্রকারের ছোট মাছি প্রজাতির পতঙ্গ। মশার অনেক প্রজাতি আছে। অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশা স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত পান করে থাকে।

 

তবে কিছু মশা রোগজীবাণু সংক্রামক। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। এ কারণে মশা সবার কাছেই ভয়ের কারণ।

অনেকেই হয়তো ভাবছেন, মশা আবার সুন্দর হয় কীভাবে? আসলে আমরা সব সময় যে ধরনের মশা দেখতে পাই, তার চেয়ে বেশ সুন্দর প্রজাতির মশা হলো সাবেথেস সায়ানিয়াস। এটি মশার একটি ক্রান্তীয় প্রজাতি, যা দেখতে চোখ ধাঁধানো বটে।

 

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গলে দেখা মেলে স্যাবেথেস মশার। বিরল প্রজাতির এই মশার গায়ে দেখা যায় নীল, বেগুনি ও কালোর মিশেল। দুই পাশে আছে রহস্যময় পালকের মতো প্যাডেল। এ কারণেই মশার এই প্রজাতি সুন্দরের তকমা পেয়েছে।

;ll

এরা দেখতে যেন ঠিক রাজকীয় মশা। এর সৌন্দর্য দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। তবে তাদেরকে দেখা পাওয়াও মুশকিল। কারণ এই প্রজাতির মশা অত্যন্ত ছদ্মবেশী। তাই এদের ছবি তোলাও কঠিন।

বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার গিল উইজেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘মশার ছবি তোলা হয়তো সবচেয়ে কষ্টকর। কারণ তারা বারবার জায়গা পরিবর্তন করে।’

 

‘এজন্য মশার ছবি তুলতে গেলে ফটোগ্রাফারকেও স্থির হয়ে থাকতে হয়। আবার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলেও বিপদ। মশা দ্রুত ওই স্থান ছেড়ে পালায়।’

nj

সাবেথেস সায়ানিয়াস মশার বিশেষত্ব হলো, তার শরীরের দু’পাশের পাখনায় পালক আছে। তবে এই পালকের কাজ কী, তা বিজ্ঞানীরা এখনও জানতে পারেননি। যদিও এ মশার সৌন্দর্য অনস্বীকার্য। তবুও এটি বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।

পৃথিবীতে মশার ৩৩০০ টিরও বেশি প্রজাতির আছে। এদের মধ্যে শুধু স্ত্রী মশারাই রক্ত খেয়ে থাকে। যখন তারা ডিম উৎপাদন করতে চায় তখনই রক্ত খায়।

 

প্রজাতি অনুযায়ী ডিম থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হওয়ার সময়ের পার্থক্য দেখা যায়। কিছু প্রজাতির ডিম থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে পাঁচ দিনের মতো। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে ৪০ দিন বা কিছু প্রজাতির ক্ষেত্রে আরও বেশি।

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল/বিবিসি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com