ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটেই বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাদেরকেই নিজেদের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে ২-১ ব্যবধানে ইংলিশদের কাছে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টিতে জস বাটলারের দলকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটিতেই জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ও মিরপুরে দ্বিতীয় টিয়োন্টি জয়ের পর আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে ইংলিশদের টি-টোয়েন্টিতে দুঃস্বপ্নের এক সিরিজ উপহার দিল টাইগাররা।
এদিন আগে ব্যাটিং করে লিটন দাসের ৭৩ ও নাজমুল হাসান শান্তর অপরাজিত ৪৭ রানে ভর করে ২০ ওভার শেষে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪২ রানের বেশি করতে পারেনি জস বাটলারের দল। ফলে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতেও ১৬ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
মিরপুরে ১৫৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম উইকেট। অবশ্য ৫ রানে সল্টকে হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। বিশেষ করে ডেভিড মালান এদিন শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে ৯৫ রানের জুটি গড়েন এই ওপেনার।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছিলেন মালান। প্রথম ইনিংসে ৪ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পেরেছিলেন মোটে ৫ রান। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ৪৩ বল খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন মালান। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৩ রান করে মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর আর কেউই বাংলাদেশের জয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাড়াতে পারেননি। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৪২ রানে। ফলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো সিরিজে বাংলাওয়াশের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড।
সূএ: বিডি২৪লাইভ ডট কম