মুফতি আতাউর রহমান: ইবাদতের দুটি প্রধান রোকন বা স্তম্ভ হলো—ক. এক আল্লাহর জন্য চূড়ান্ত বিনয়ী ও নম্র হওয়া, খ. আল্লাহর জন্য চূড়ান্ত ভালোবাসা লালন করা। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘ইবাদত হলো পূর্ণ নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও পূর্ণ বিনয়ের সমন্বয়। ইবাদতকারী প্রেমিক ও বিনয়ী। ’ (জামি আল-রাসায়িল : ২/২৮৪)
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘ইবাদতের মূল ভিত্তি দুটি বিষয় : পূর্ণ ভালোবাসা ও চূড়ান্ত বিনয়।
আল্লাহর অনুগ্রহগুলোর অনুসন্ধান ব্যক্তির ভেতর ভালোবাসা সৃষ্টি করে এবং নিজের ত্রুটি বিচ্যুতি সম্পর্কে সচেতনতা তাকে বিনয়ী করে। ’ (আল-ওয়াবিল আল-সাইব, পৃষ্ঠা ৮)
আল্লাহর প্রতি বান্দার বিনয় ও ভালোবাসা প্রকাশ পায় একনিষ্ঠ ইবাদত, আদিষ্ট বিষয় পালন এবং নিষিদ্ধ বিষয় পরিহারের মাধ্যমে। বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর নির্দেশ হলো—‘তারা আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং নামাজ আদায় করতে ও জাকাত দিতে এটাই সঠিক দ্বিন। ’ (সুরা বাইয়িনাহ, আয়াত : ৫)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাকো; তিনি অবিচারকারীদের পছন্দ করেন না। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৫)
আল্লামা ইবনে জারির তাবারি (রহ.) লিখেন, উল্লিখিত আয়াতে একত্ববাদের ব্যাপারে বিশুদ্ধ বিশ্বাস ও অন্তরের বিনয়ের সঙ্গে ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানে প্রদর্শন ও অবিশ্বাস থাকবে না। যেমনটি করে থাকে মুনাফিক ও প্রতারকরা। (তাফসিরে তাবারি : ১০/২৪৭) সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন