বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ: ডিবি প্রধান

 ফাইল ছবি

রাজধানীর পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল রাজনৈতিক দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে। মূলত এসব করা হয়েছে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য। এসব ঘটনায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ডিবি প্রধান মো. হারুন অর রশিদ।

 

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এর আগে, শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো- বিএনপি কর্মী ইসমাঈল পাটওয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু, বিএনপি কর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ এবং যুবদলের মোস্তফা কামাল সুমন। এছাড়াও বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিনকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে কোয়াটার্সের সামনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করেছে ডিবি। আর এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ডিবির।

 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনার দিন ইসমাঈল পাটওয়ারী দুটি সবুজ রংয়ের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদও জড়িত। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ী ভাংচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে। গ্রেফতার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙ্গে ফেলে। এমন কি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছি। গ্রেফতারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে তারা। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে।

 

তিনি জানান, পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল আমিন নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আল আমিন স্বীকার করেছেন এ ঘটনায় কারা কারা জড়িত। পাশাপাশি তারা বলেছে এই নাশকতা তাদের পূর্ব পরিকল্পিত।

সূূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধমক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে চাইলে বিএনপি সহ্য করবে না : ফারুক

» পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দেশের স্বার্থে বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৫৩ জন গ্রেফতার

» হজ শেষে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি

» জামালপুরে নারী এগিয়ে চলা প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত

» জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  মোরেলগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

» ইসলামপুরে রহিম মেম্বার হত্যা সন্দেহে দুইজন আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ: ডিবি প্রধান

 ফাইল ছবি

রাজধানীর পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল রাজনৈতিক দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে। মূলত এসব করা হয়েছে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য। এসব ঘটনায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ডিবি প্রধান মো. হারুন অর রশিদ।

 

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এর আগে, শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো- বিএনপি কর্মী ইসমাঈল পাটওয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু, বিএনপি কর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ এবং যুবদলের মোস্তফা কামাল সুমন। এছাড়াও বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিনকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে কোয়াটার্সের সামনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করেছে ডিবি। আর এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ডিবির।

 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনার দিন ইসমাঈল পাটওয়ারী দুটি সবুজ রংয়ের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদও জড়িত। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ী ভাংচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে। গ্রেফতার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙ্গে ফেলে। এমন কি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছি। গ্রেফতারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে তারা। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে।

 

তিনি জানান, পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল আমিন নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আল আমিন স্বীকার করেছেন এ ঘটনায় কারা কারা জড়িত। পাশাপাশি তারা বলেছে এই নাশকতা তাদের পূর্ব পরিকল্পিত।

সূূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com