বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সফররত মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমোডিটিজ বিষয়ক মন্ত্রী জুরাইদা কামারউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান জুরাইদা। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
উপ-প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, বৈঠকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী জুরাইদা কামারউদ্দিন দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের জন্য সরকার টু সরকার (জিটুজি) চ্যানেলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব দেন এবং তা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রস্তাবিত নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে জুরাইদা বলেন, তারা শ্রমিকদের উপযুক্ত বেতন-আবাসনসহ মৌলিক অধিকার ও সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চান। একই সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ এবং ঝামেলামুক্ত করতে চান। এছাড়া কর্মীদের তদারকি করার জন্য একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করারও আগ্রহের কথা জানান মালয়েশিয়ার মন্ত্রী।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে মালেশিয়ার প্রস্তাবকে একটি ‘ভালো প্রস্তাব’ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জুরাইদা কামারউদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়া মনে করে আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আশা প্রকাশ করেন আগামীতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন জুরাইদা কামারউদ্দিন।
টিকাদানে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের একজন প্রভাবশালী নারী নেত্রী হিসেবে আখ্যা দিয়ে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের সব নারীদের জন্য শেখ হাসিনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
বৈঠককালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন জুরাইদা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর মাধ্যমে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম।