আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় হাট হিসেবে খ্যাত গাবতলী গবাদি পশুর হাট। মূল হাটের বাইরে ও তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকারের ছাউনি। যা দু’চারদিনের মধ্যে পূর্ণ হবে কোরবানির উপযোগী পশুতে।
বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখা যায়, হাট বর্ধিত করতে এই মুহূর্তে চলছে ব্যস্ততা
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীতে বসবে মোট ২০টি হাট। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি করে স্থায়ী হাট রয়েছেন। উত্তর সিটির স্থায়ী হাট গাবতলী গবাদি পশুর হাট। সারা বছর এই হাটে গবাদি পশু বিক্রি হলেও ঈদকে সামনে রেখে সেই বিক্রি বাড়ে কয়েক শ গুণ।
ঈদের বাকী যখন দু সপ্তাহ তখন বিভিন্ন জেলার খামারি ও ব্যাপারীরা গাবতলী হাটে আসতে শুরু করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আরও এক সপ্তাহ আগেই অনেক ব্যাপারী ঢাকায় এসেছেন। হাটে জায়গা পেতে আগেভাগেই এসেছেন তারা। আবার এরই মধ্যে অনেকেই কুরবানি উপযোগী পশু বিক্রিও করেছেন।
কুষ্টিয়ার উজান গ্রাম থেকে গাবতলি হাটে আসা আবজাল ব্যাপারী জানান, প্রথম ধাপে দুই ট্রাকে ৪০টি গরু এনেছেন। আগামীকাল (শুক্রবার) তার আরও চার ট্রাক গরু আসবে।
আবজাল ব্যাপারী বলেন, ‘মাত্র তো শুরু হইলো। আমার আরও দুইশো গরু আসব। কাস্টমার হইবো ঈদের আগে আগে। এখনো সময় আছে।
সিরাজগঞ্জের ব্যাপারি আরিফুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ আগে গাবতলি হাটে এসেছেন তিনি। সঙ্গে এনেছেন ১৪টি গরু। যার পাঁচটি এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘মোটামুটি কাস্টমার আছে। হাট রানিং হইলে বিক্রি বাড়ব। আরও গরু আসতাছে।’
বিক্রেতাদের দাবি, এবার অন্যান্যবারের তুলনায় গরুর দাম বেশি হবে।
এদিকে হাটে ব্যবসায়ীদের জায়গা দিতে প্রস্তুতির শেষ দিকে গাবতলী হাটের ইজারাদার। মূল হাটের বাইরে বাঁশ দিয়ে ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়ে গরু রাখা ও ব্যাপারীদের থাকার জায়গার। হাটের শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শতাধিক কর্মী।
গাবতলী হাটের ইনচার্জ সজিব সরকার ঢাকা মেইলকে জানান, এরইমধ্যে হাটের শৃঙ্খলার জন্য তারা কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। যারা হাটে আসা ক্রেতাদের সহযোগিতা, ব্যাপারীদের সহযোগিতা ও গরু বোঝাই ট্রাকের শৃঙ্খলা বিধানে কাজ করবে।
এদিকে গাবতলি হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণাধীন রয়েছে। যা আগামী দুই-তিনদিনে সম্পন্ন হবে। এছাড়া হাটের মূল ফটকের পাশেই প্রতি বারের মতো বসানো হচ্ছে র্যাব-পুলিশের কন্ট্রোল রুম।