নিন্দা করতেন কারিনা, তারই প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমিশা

আমিশা প্যাটেল। দ্যুতি ছড়িয়ে হারিয়ে যাওয়া এক বলিউড নায়িকা। যার প্রথম সিনেমাই ছিল সুপারডুপার হিট। পেয়েছিলেন সেরা নবাগত অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। আমিশার অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল ২০০০ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে। যেটির নায়ক ছিলেন বলিউডের এই সময়ের অন্যতম সুদর্শক এবং জনপ্রিয় তারকা হৃত্বিক রোশন।

রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সে বছর এক ডজনেরও বেশি পুরস্কার ঘরে তুলেছিল। কিন্তু জানেন কি, এই সিনেমাতেই হৃত্বিকের বিপরীতে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল বলিউডের আরেক সুন্দরী নায়িকা কারিনা কাপুরের? হ্যা, এটাই সত্যি। কিন্তু সিনেমাটি হিরোকেন্দ্রীক হওয়ায় মেয়েকে সেখানে অভিনয় করতে দেননি কারিনার মা ববিতা। পরে নেওয়া হয় আমিশা প্যাটেলকে।

 

কিন্তু ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ মুক্তির পর মাথায় হাত পড়ে কারিনা এবং তার মায়ের। বুঝতে পারেন কী ভুল তারা করেছেন। সে সময় জুটি হিসেবে হৃত্বিক এবং আমিশার নামডাক গোটা ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। চমৎকার প্রেমের সিনেমা ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ বলতে অজ্ঞান ছিলেন সব শ্রেণির দর্শক। হৃত্বিক তো বটেই, আলাদা করে ওই সিনেমার জন্য দারুণ প্রশংসিত হন আমিশাও।

 

অথচ তাকেই কিনা সে সময় খারাপ অভিনেত্রীর তকমা দিয়েছিলেন কারিনা কাপুর। হিংসা করতেন আমিশাকে। এমনকী, ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিতে আমিশার ভূমিকা নিয়েও কটূবাক্য করেছিলেন তিনি। বলিউডের বাতাসে কান পাতলে এখনও সে সব কথা শোনা যায়।

 

অবশ্য ওই সময় আমিশাকে হিংসা করার আরও একটি কারণ ছিল কারিনার কাছে। ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ মুক্তির পর হ্যান্ডসাম হৃত্বিকের প্রেমে পড়ে যান তিনি। ঠিক ওই সময় আমিশার সঙ্গে হৃত্বিকের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বলিউডে শুরু হয় জোর চর্চা। ফলে আরও বেশি করে আমিশাকে হিংসা করতে শুরু করেন কারিনা এবং সেগুলো প্রায়ই খবরের শিরোনাম হতো।

 

এত বছর পর সেই কারিনার প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ তারকা আমিশা। সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে যেসব খবর প্রচার করা হতো, সেগুলো পুরোপুরি গল্প। আমাদের দুজনের মধ্যে সেরকম কোনো সমস্যাই ছিল না। কারিনা খুব ভালো মনের মানুষ, খুব ভালো অভিনেত্রী। তাকে নিয়ে আমার কোনো বিরূপ মনোভাব নেই।

 

আমিশা দাবি করেন, ‘আমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছে কারিনার কাজের প্রশংসা করি। তার বাবা রণধীর কাপুর আমার কাছের মানুষ। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক। তিনি প্রায়ই আমাকে ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।’ এবার আমিশার এই বক্তব্যের বিপরীতে কারিনা কী মন্তব্য করেন, তার জন্য অপেক্ষা।

 

প্রসঙ্গত, প্রথম ছবিতেই নাম-যশ-খ্যাতি কামানো আমিশা প্যাটেল বর্তমানে অভিনয়ে একেবারেই অনিয়মিত। একসময় যে নায়িকার মিষ্টি হাসি ও মায়াবী চেহারার ঝলকানীতে কাবু ছিল ৮ থেকে ৮০, অর্ধযুগ ধরে তারই দেখা নেই রুপালি পর্দায়। মাঝে ভারতের দক্ষিণী সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে দেখা মেলে না সেখানেও। আমিশা কি তবে হারিয়ে গেলেন?,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নতুন মায়েরা সকালে এই ৫ সুপারফুড খান

» হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টা কেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

» বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ক্যাভিয়ার আসলে কী?

» এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ, ফাইনালে ভারত

» মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত

» সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা ও আয়ের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

» সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল

» অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা

» যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা

» কেন বিষাক্ত মানুষদের ছেঁটে ফেলতে বললেন পরিণীতি?

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নিন্দা করতেন কারিনা, তারই প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমিশা

আমিশা প্যাটেল। দ্যুতি ছড়িয়ে হারিয়ে যাওয়া এক বলিউড নায়িকা। যার প্রথম সিনেমাই ছিল সুপারডুপার হিট। পেয়েছিলেন সেরা নবাগত অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। আমিশার অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল ২০০০ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে। যেটির নায়ক ছিলেন বলিউডের এই সময়ের অন্যতম সুদর্শক এবং জনপ্রিয় তারকা হৃত্বিক রোশন।

রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সে বছর এক ডজনেরও বেশি পুরস্কার ঘরে তুলেছিল। কিন্তু জানেন কি, এই সিনেমাতেই হৃত্বিকের বিপরীতে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল বলিউডের আরেক সুন্দরী নায়িকা কারিনা কাপুরের? হ্যা, এটাই সত্যি। কিন্তু সিনেমাটি হিরোকেন্দ্রীক হওয়ায় মেয়েকে সেখানে অভিনয় করতে দেননি কারিনার মা ববিতা। পরে নেওয়া হয় আমিশা প্যাটেলকে।

 

কিন্তু ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ মুক্তির পর মাথায় হাত পড়ে কারিনা এবং তার মায়ের। বুঝতে পারেন কী ভুল তারা করেছেন। সে সময় জুটি হিসেবে হৃত্বিক এবং আমিশার নামডাক গোটা ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। চমৎকার প্রেমের সিনেমা ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ বলতে অজ্ঞান ছিলেন সব শ্রেণির দর্শক। হৃত্বিক তো বটেই, আলাদা করে ওই সিনেমার জন্য দারুণ প্রশংসিত হন আমিশাও।

 

অথচ তাকেই কিনা সে সময় খারাপ অভিনেত্রীর তকমা দিয়েছিলেন কারিনা কাপুর। হিংসা করতেন আমিশাকে। এমনকী, ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবিতে আমিশার ভূমিকা নিয়েও কটূবাক্য করেছিলেন তিনি। বলিউডের বাতাসে কান পাতলে এখনও সে সব কথা শোনা যায়।

 

অবশ্য ওই সময় আমিশাকে হিংসা করার আরও একটি কারণ ছিল কারিনার কাছে। ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ মুক্তির পর হ্যান্ডসাম হৃত্বিকের প্রেমে পড়ে যান তিনি। ঠিক ওই সময় আমিশার সঙ্গে হৃত্বিকের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বলিউডে শুরু হয় জোর চর্চা। ফলে আরও বেশি করে আমিশাকে হিংসা করতে শুরু করেন কারিনা এবং সেগুলো প্রায়ই খবরের শিরোনাম হতো।

 

এত বছর পর সেই কারিনার প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ তারকা আমিশা। সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে যেসব খবর প্রচার করা হতো, সেগুলো পুরোপুরি গল্প। আমাদের দুজনের মধ্যে সেরকম কোনো সমস্যাই ছিল না। কারিনা খুব ভালো মনের মানুষ, খুব ভালো অভিনেত্রী। তাকে নিয়ে আমার কোনো বিরূপ মনোভাব নেই।

 

আমিশা দাবি করেন, ‘আমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছে কারিনার কাজের প্রশংসা করি। তার বাবা রণধীর কাপুর আমার কাছের মানুষ। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক। তিনি প্রায়ই আমাকে ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।’ এবার আমিশার এই বক্তব্যের বিপরীতে কারিনা কী মন্তব্য করেন, তার জন্য অপেক্ষা।

 

প্রসঙ্গত, প্রথম ছবিতেই নাম-যশ-খ্যাতি কামানো আমিশা প্যাটেল বর্তমানে অভিনয়ে একেবারেই অনিয়মিত। একসময় যে নায়িকার মিষ্টি হাসি ও মায়াবী চেহারার ঝলকানীতে কাবু ছিল ৮ থেকে ৮০, অর্ধযুগ ধরে তারই দেখা নেই রুপালি পর্দায়। মাঝে ভারতের দক্ষিণী সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে দেখা মেলে না সেখানেও। আমিশা কি তবে হারিয়ে গেলেন?,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com