নিউইয়র্কে পুলিশের হাতে বাংলাদেশি হত্যায় ফুসছে কমিউনিটি

ফাইল ছবি

 

৩২ ঘণ্টা পরও উইন রোজারিয়োকে (১৯) গুলি করে হত্যার ফুটেজ প্রকাশ না করায় ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে প্রবাসীদের মধ্যে। ২৭ মার্চ দুপুর পৌণে দু’টার দিকে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্ক এলাকায় নিজ বাসায় মা এবং ছোট ভাইয়ের সামনেই নিউইয়র্কের পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলিতে হত্যা করে উইনকে। মানসিক ভারসাম্যহীন উইন নাকি রান্না ঘরের কাঁচি নিয়ে পুলিশকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন-এমন অজুহাতে তাকে হত্যা করা হয়-এ দাবি পুলিশের। কিন্তু উইনের মা এবং ছোট ভাই তা মানতে নারাজ।

 

এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ এবং সিটি প্রশাসনের রহস্যজনক নিরবতার নিন্দা উঠেছে কমিউনিটিতে। নিউইয়র্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র পক্ষ থেকে পুলিশী আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অন্য সকল সংগঠন নিয়ে শিগগিরই বড় ধরনের একটি বিক্ষোভের হুমকি দেয়া হয়েছে। ২৮ মার্চ উইনের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবাকে শান্তনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন নিউইয়র্কের কন্সাল জেনারেল নাজমুল হুদা। কম্যুনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ক্ষুব্ধ মানুষেরাও উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিয়োর সাথে সাক্ষাৎ এবং টেলিফোনে সমবেদনার পাশাপাশি এমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য করণীয় সবকিছু করার আশ্বাস দিচ্ছেন।

 

উইনের লাশ স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গেই রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে তা মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করার কথা এদিনই।

 

ফ্রান্সিস রোজারিয়ো দম্পতি যে চার্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন সেখানকার কর্মকর্তা ডা. টমাস দুলু রায় জানান, যথাযথ তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে আমরা সোচ্চার।

গাজিপুরের সন্তান ফ্রান্সিস রোজারিয়ো সপরিবারে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। ফ্রান্সিস ও ইভা উভয়েই কাজ করেন জেএফকে এয়ারপোর্টে। পুলিশ ডাকাডাকি ও উইনকে গুলি করে হত্যার সময় ফ্রান্সিস ছিলেন কাজে।  সূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধমক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে চাইলে বিএনপি সহ্য করবে না : ফারুক

» পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দেশের স্বার্থে বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৫৩ জন গ্রেফতার

» হজ শেষে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি

» জামালপুরে নারী এগিয়ে চলা প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত

» জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  মোরেলগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

» ইসলামপুরে রহিম মেম্বার হত্যা সন্দেহে দুইজন আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নিউইয়র্কে পুলিশের হাতে বাংলাদেশি হত্যায় ফুসছে কমিউনিটি

ফাইল ছবি

 

৩২ ঘণ্টা পরও উইন রোজারিয়োকে (১৯) গুলি করে হত্যার ফুটেজ প্রকাশ না করায় ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে প্রবাসীদের মধ্যে। ২৭ মার্চ দুপুর পৌণে দু’টার দিকে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্ক এলাকায় নিজ বাসায় মা এবং ছোট ভাইয়ের সামনেই নিউইয়র্কের পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলিতে হত্যা করে উইনকে। মানসিক ভারসাম্যহীন উইন নাকি রান্না ঘরের কাঁচি নিয়ে পুলিশকে আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন-এমন অজুহাতে তাকে হত্যা করা হয়-এ দাবি পুলিশের। কিন্তু উইনের মা এবং ছোট ভাই তা মানতে নারাজ।

 

এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ এবং সিটি প্রশাসনের রহস্যজনক নিরবতার নিন্দা উঠেছে কমিউনিটিতে। নিউইয়র্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র পক্ষ থেকে পুলিশী আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অন্য সকল সংগঠন নিয়ে শিগগিরই বড় ধরনের একটি বিক্ষোভের হুমকি দেয়া হয়েছে। ২৮ মার্চ উইনের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবাকে শান্তনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন নিউইয়র্কের কন্সাল জেনারেল নাজমুল হুদা। কম্যুনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ক্ষুব্ধ মানুষেরাও উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিয়োর সাথে সাক্ষাৎ এবং টেলিফোনে সমবেদনার পাশাপাশি এমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য করণীয় সবকিছু করার আশ্বাস দিচ্ছেন।

 

উইনের লাশ স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গেই রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে তা মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করার কথা এদিনই।

 

ফ্রান্সিস রোজারিয়ো দম্পতি যে চার্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন সেখানকার কর্মকর্তা ডা. টমাস দুলু রায় জানান, যথাযথ তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটন ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে আমরা সোচ্চার।

গাজিপুরের সন্তান ফ্রান্সিস রোজারিয়ো সপরিবারে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। ফ্রান্সিস ও ইভা উভয়েই কাজ করেন জেএফকে এয়ারপোর্টে। পুলিশ ডাকাডাকি ও উইনকে গুলি করে হত্যার সময় ফ্রান্সিস ছিলেন কাজে।  সূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com