মেইকআপের ক্ষেত্রে অনেকেই নকল চোখের পাপড়ি পরতে পছন্দ করেন। এই নকল চোখের পাপড়ি পরিধান করলে মুহূর্তেই চোখের আবেদন সহস্র গুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে প্রশ্ন হলো- নকল চোখের পাপড়ি পরিধান কি জায়েজ?
ইসলামি শরিয়তে পরচুলা লাগানো হারাম। বর্তমান সময়ের একদল ইসলামিক স্কলার বলেন, চোখে কৃত্রিম পাপড়ি লাগানো পরচুলা লাগানোর মতোই। কাজেই এটিও বৈধ হবে না। তাছাড়া এতে এক ধরনের ধোঁকার আশঙ্কা থাকে। আর ধোঁকা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম।
পরচুলা লাগানো সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে রাসূল (সা.) হতে বর্ণিত। আল্লাহ তায়ালা লানত করেন সে সব নারীদেরকে যারা নিজে পরচুলা লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়, যারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ট্যাটু আঁকে এবং অন্যকে করিয়ে দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৩৩)
প্রখ্যাত ফিকাহিদ ও স্কলার ড. খালিদ আল মুসলিহ বলেন, আমি আশঙ্কা করছি- এটি নিষিদ্ধ পরচুলার অন্তর্ভুক্ত, যার কর্তাকে আল্লাহ তায়ালা লানত করেছেন। যেমনটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই বলেছেন যে, ‘আল্লাহ তায়ালা পরচুলা ব্যবহারকারিনী ও যে ব্যবহার করায় উভয়কে লানত করেছেন।’ আর এটা তো স্পষ্ট যে, কাজটি মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত। এটা প্রতারণাও। এজন্য মুসলিম বোনদের আমি উপদেশ দিচ্ছি যে, তারা যেন এধরনের মেকআপ থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহর দেওয়া সৌন্দর্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে।